আলাউদ্দিন সিকদার, উখিয়া :
নোয়াখালীর হাতিয়া ভাসানচরের উদ্দেশে পঞ্চম দফায় আরো ২২৫৯ রোহিঙ্গা চট্রগ্রামের পথে রওনা দিয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে ২০টি বাসে ১০৭৩ পরে বিকেলে আরও ২০টি বাসে ১১৮৬সহ মোট ২২৫৯ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু নিয়ে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে চট্রগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়। এ সময় তাদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২টি বাস, ২টি এ্যম্বুলেন্স, ৬টি প্রটেকশন গাড়ি এবং ১১টি কার্গো ভ্যান যেতে দেখা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন, রাতে তারা চট্টগ্রামের বিএন শাহীন কলেজের ট্রানিজট ক্যাম্পে পৌঁছাবেন। সেখান থেকে পরের দিন নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় তাদের ভাসানচরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

এর আগে সোমবার ও মঙ্গলবার উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মিনিবাসে করে রোহিঙ্গাদের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে আনা হয়। সেখানে তাদের খাবার দিয়ে বাসে উঠার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।

এদিকে, এই দফায় বুধবার আরও ২ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশে উখিয়া ছাড়বে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ্দৌজা বলেন, কয়েক ধাপে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা ভাসানচরে গেছেন। তারা সেখানে এই শিবিরগুলোর চেয়ে অনেক ভাল পরিবেশে রয়েছে। এটি সরকারের একটি চলমান প্রক্রিয়া। পর্যায়ক্রমে এক লাখ রোহিঙ্গাকে নেওয়া হবে ভাসানচরে।

উল্লেখ্য, এই প্রক্রিয়ার শুরুতে গত ৪ ও ২৯ ডিসেম্বর ৩ হাজার ৪৪৬ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। এরপর ২৯ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপের প্রথম অংশে ১ হাজার ৭৭৮ জন এবং ৩০ জানুয়ারি দ্বিতীয় অংশে ১ হাজার ৪৬৩ জনকে ভাসানচরে নেওয়া হয় এবং চতুর্থ দফায় দুই দলে ৩ হাজার ২০ জন পৌঁছান সেখানে। বর্তমানে ৯ হাজার ৭০৭ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে বসবাস শুরু করেছেন। এছাড়া এরও আগে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে গত বছরের মে মাসে ভাসানচর নেওয়া হয়।