বলরাম দাশ অনুপম :
কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণে কক্সবাজারে জেলা পুলিশ নানা আয়োজনের মাধ্যমে পালন করেছে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে । এ উপলক্ষে সোমবার সকালে জেলা পুলিশ লাইন্স-এ শোকর‌্যালী, নিহতদের স্মরণে পুস্পস্তবক অর্পণ,দোয়া ও মোনাজাত, স্মরণসভা এবং নিহত পুলিশ পরিবারের সদস্যদের হাতে উপহার সামগ্রী বিতরণের আযোজন করা হয়।

জেলা পুলিশ লাইন্স সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণসভা। স্মরণসভার শুরুতে পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান নিহত পুলিশ পরিবারের সদস্য সকলের কাছ থেকে তাদের বর্তমান অবস্থা শুনতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। পুলিশ সুপারের এমন আগ্রহে নিহত পুলিশ পরিবারের সদস্যরা আবেগাপ্লুত হয়ে তাদের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে।এসময় স্বজনহারা সদস্যদের সাথে সাথে উপস্থিত সকলের চোখে অশ্রু।স্বজনহারাদের শোক যেন উপস্থিত সবাইকে একাত্মতা করে নেয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় ১৪ এপিবিএন-এর অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি)মো: আতিকুর রহমান, ট্যুরিষ্ট পুলিশ সুপার মো: জিল্লুর রহমান, ৮ এপিবিএন-এর অধিনায়ক মো: সিহাব কায়সার খান,পুলিশ সুপার (সিআইডি) মো: ফয়সাল আহম্মেদ, পুলিশের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমাড্যান্ট মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন,পুলিশ সুপার (পিবিআই) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম,১৬ এপিবিএন-এর অধিনায়ক মো: তারিকুল ইসলাম,সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুনীর উল গিয়াস বক্তব্য রাখেন। সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন,পুলিশ সাধারণ মানুষের জানমাল নিরাপত্তা,সন্ত্রাস অপরাধ দমনসহ বিভিন্ন সেবাপ্রদান করতে গিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। এরফলে অনেক চৌকষ পুলিশ সদস্য আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যায়। থেকে যায় তাদের পরিবারের সদস্যরা। যে শোক তাদের সারাটা জীবন বইতে হয়।সেইসাথে আমরা যারা বেঁচে থাকি তারা শোকাভিভূত হই।এই স্বজনহারা পরিবারের পাশে জেলা পুলিশ সবসময় থাকবে। এসময় তিনি এসব নিহত পুলিশ পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর নিতে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তাদের অনুরোধ করেন এবং প্রয়োজনীয় সার্বিক সহযোগীতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।এছাড়া যোগ্যতানুযায়ী তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগও করে দেয়ার কথা বলেন।

ট্যুরিষ্ট পুলিশ সুপার মো: জিল্লুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, নিহত পুলিশ পরিবারের সদস্যদের প্রতি সংশ্লিষ্ট সকলকে সহানুভূতিশীল হওয়ার আহবান জানান। পরে জেলায় কর্মরত অবস্থায় নিহত আট পুলিশ পরিবারের সদস্যদের হাতে উপহার তুলে দেয়া হয়।