কফিল উদ্দিন রামু:

পর্যটন শহর কক্সবাজার। জেলার পার্শবর্তী উপজেলা রামু। আর সেই রামুতে পর্যটকদের বিনোদনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে নবনির্মিত আলহাজ্ব ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী সেতু।

জানা যায়, ১৪ এপ্রিল ২০১৬ সালে বাঁকখালী নদীর উপর চাকমারকুল-কলঘর বাজার-রাজারকুল ও দক্ষিণ মিঠাছড়িতে জেলার বৃহত্তম সেতু
ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করে কক্সবাজার সদর-রামু আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল। ৪০০ মিটার দৈর্ঘ্য ৭.৩ মিটার প্রস্থ সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিলো ২২ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা ৮২ হাজার ১৭৪ টাকা। সেতুটি এখনো নির্মাণাধীন। নির্মান শেষ না হওয়ার আগেই সেতুটির সৌন্দর্য নজর কাড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকদের।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই সেতুটি নির্মান হওয়ার কারনে চাকমারকুল- কলঘর বাজার- রাজারকুল ও দক্ষিণ মিঠাছড়ির সাথে জেলার একটি মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলপ্রসূ হিসাবে তারা অনায়াসেই চলাচল করতে পারে। তাছাড়া তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ সবদিকে নতুন দিগন্তের সুচনা হয়েছে বলে জানান তারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা মেলে এক নতুন ইতিহাসের, সেতুটির সৌন্দর্য বিমোহিত করে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসা পর্যটকদের। পড়ন্ত বিকেলে সেতুর সৌন্দর্যের গৌধুলি মনায় নজর কাড়ে তাদের, রয়েছে সবুজের বিশাল আলো আধারীর রাজত্ব। সবুজ অরণ্য হাতছানি দিয়ে ডাকছে পর্যটকদের।

তাছাড়া নির্মিত এই সেতুটি দুপাশের মানুষের নব দিগন্তের সুচনা করেছে। সেতুর একপাশের জলরাশির সৌন্দর্যও বেশ উপভোগ্য।প্রতিদিন বিকেল হলেই সেতুতে জেলার বিভিন্ন শহর থেকে আসা পর্যটকদের ভিড় করতে দেখা যায়।

তবে আরেকটি বিষয়টা না আনলে হয় না, নতুন সেতুটি হওয়ায় দুপারের মধ্যে মেলবন্ধন সৃষ্টি হলেও উপদ্রব বেড়েছে খুচরা চোর, পকেটমার,ডাকাতদের। তারা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সবকিছু হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ও পাওয়া গেছে। তাই সচেতন মহল বলছেন পর্যটক সহ স্থানীয়দের নিরাপত্তায় রাত্রীকালীন পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করার জন্যও সংলিষ্টদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস করেন।