শহিদুল করিম শহিদ:
কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা মুহুরী পাড়া বিসিক এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে নির্যাতিত সাধারণ মানুষ।
সন্ধ্যা নেমে আসলেই সেখানে ঘটছে চুরি, ডাকাতি ও  ছিনতাইয়ের ঘটনা অভিযোগ এলাকাবাসীর।

স্থানীয়রা জানান, বিসিক স্টেশনে বিসিকের উঠোনি বাজার আরিফ সড়ক হতে খুইশ্যাবোরকাটা ও মালেক শাহ মসজিদ জামে মসজিদ এর আশেপাশে এলাকা চিহ্নিত সন্ত্রাসী গ্রুপের আস্তানা রয়েছে।

ভুক্তভোগী রুহুল কাদের জানান, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন সময়ে চাঁদা দাবি ও বাড়িতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে বর্তমানে ঘরছাড়া। বর্তমানে রুহুল কাদের বাদী হয়ে চাঁদাবাজি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান।

স্থানীয় সেলিম সওদাগর বলেন, সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট এত শক্তিশালী তাদের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়া অনেক কষ্টকর, সময় অসময়ে দোকানে হামলা ও বিভিন্ন সময় দোকান লুটপাট ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় মহিলা কাজল সওদাগর জানান, সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে দোকানপাট বন্ধ করে পাহারা দিতে হয় কারণ স্থানীয় চোর-ডাকাত তাদের ভয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

দক্ষিণ মুহুরীপাড়া সর্দার মামুনুর রশিদ জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই বৃহত্তর মুহুরীপাড়া ও সরকারি কলেজ সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসী ভূমিদস্যুদের রাজত্ব। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এলাকায় খুন হয়েছে অসংখ্য মানুষ।

বর্তমানে সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারীদের আতঙ্কে এলাকার সাধারণ মানুষ। যেকোনো সময় মারাত্মক প্রাণহানির মতো ঘটনার আশঙ্কা এলাকাবাসীর।

চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু ছিনতাইকারীদের আশ্রয়দাতা- প্রশ্রয়দাতা মূল হোতা কে?

প্রতিনিয়ত ছিনতাই, চুরি, ডাকাতিসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। এমতাবস্থায় দক্ষিণ মুহুরীপাড়ার সমাজে বসবাসকারীর নিরাপত্তা চেয়ে জরুরী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি।

বিসিক এলাকা সর্দার রায়হান জানান,  সন্ধ্যা হলেই মুহুরীপাড়া বিসিক এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের মহড়া বসে। গ্রেনেড আবছারের দোকানে চলে মাদকের আড্ডা । এলাকায় দিন দিন আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। স্থানীয় ও বহিরাগত চিহ্নিত সিন্ডিকেট দিন-দুপুরে চাঁদাবাজি, ভূমি দখল, চুরি ডাকাতি ছিনতাইয়ের মতো জঘন্য কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নামে অসংখ্য মামলা রয়েছে।

ঝিলংজা ইউপির স্থানীয় মেম্বার কুদরত উল্লাহ  বলেন, বিসিক এলাকায় একটি বড় সন্ত্রাসী বাহিনী বিচরণ করছে। এই সন্ত্রাসীরা এলাকায় বাইরের লোকজন বেড়াতে গেলে সর্বস্ব কেড়ে নেয়। এমনটি স্থানীয় লোকজনও তাদের হাতে ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অত্যাচার চালায়।

এলাকার নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করার জন্য জরুরী ভিত্তিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ইউপি সদস্য কুদরত উল্লাহ।

খবর নিয়ে ওইসব সন্ত্রাসী বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মুনিরুল গিয়াস।