অনলাইন ডেস্ক : আগামী পহেলা মার্চ থেকে ঢাবির হল খুলে দেওয়ার দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বিকেলে রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশ করে এই আল্টিমেটাম দেন তারা।
আজ রবিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পূর্বঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী জোনায়েদ।
এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘এক দফা এক দাবি, হল খুলবে ফেব্রুয়ারি’, ‘হল সব খুলতে হবে, নইলে তালা ভাংতে হবে’, ভিসি স্যার টিকা দিন, হলের তালা খুলে দিন’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। আন্দোলনকারীরা বলছেন, দেশের সবকিছুই যখন স্বাভাবিকভাবে চলছে, তখন হল বন্ধ রাখা অযৌক্তিক।
আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র জুনাইদ হুসেইন খান বলেন, সেশনজট যাতে আর দীর্ঘায়িত না হয়, সেজন্য মার্চ থেকেই যাতে হল খুলে দেওয়া হয়। আমরা মার্চ থেকে হলে উঠতে চাই।
আন্দোলনকারীদের একজন তানভীর আলম চৌধুরী বলেন, প্রায় একবছর হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল বন্ধ। টিকাও চলে এসেছে। এখন হল খুলতে এতো বিলম্ব করার কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবো তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক।
এর আগে সোমবার সোয়া ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের প্রধান ফটকের শিকল খুলে ভেতরে ঢুকে পড়েন। এ সময় হলের নিরাপত্তাকর্মীরা উপস্থিত থাকলেও কাউকে বাধা দিতে দেখা যায়নি।
প্রায় ঘণ্টাখানেক হলের ভেতরে অবস্থান শেষে দুপুর সোয়া একটা দিকে শিক্ষার্থীরা হল থেকে বেরিয়ে যান এবং দ্রুত হল খোলার দাবিতে বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধনের কর্মসূচি দেন।
-কালেরকন্ঠ
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।