সংবাদদাতা:  ‘যৌতুক দাবিতে স্বামীর হামলায় স্ত্রীসহ আহত-৩’ শীর্ষক সংবাদটির প্রতিবাদ করেছেন স্বামী মনছুর । তার মতে  ঘটনার প্রকৃত সত্য সংবাদে আসে নাই ।

রামু উপজেলার ধুমছাকাটা গ্রামের সেকান্দার আলীর ছেলে মনছুর আলম কক্সবাজার সদর উপজেলার চাঁন্দেরঘোনা গ্রামের মৃত কবির আহমদের মেয়ে প্রাইমারি স্কুল শিক্ষিকা মুবিনা আক্তারের সাথে গত ১৫ নভেম্বর ২০১৭ সালে সামাজিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের এক মাস পর সরকারি ট্রেনিং এর সুবাদে তারা এক বছর কক্সবাজার শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে অবস্থান করেন। ট্রেনিং শেষ হলে যথানিয়মে বাড়িতে চলে আসবেন ঠিক এই মুহূর্তে স্ত্রী বলেন “আমার চাকরি যেহেতু দক্ষিণমাইজপাড়া তাই,ঈদগাঁওতে বাসা ভাড়া নিতে হবে”। কিন্তু বাড়িতে অসুস্থ ও বৃদ্ধ মা-বাবার কথা চিন্তা করে স্ত্রীর এই প্রস্তাবে রাজি না থাকলেও স্ত্রীর চাপাচাপিতে ঈদগাঁওতে পুনরায় বাসা ভাড়া নিতে বাধ্য হন।
বাড়িতে অসুস্থ মা-বাবাকে দেখা-শুনা করার অন্য কেউ না থাকায় মনছুর স্ত্রীর পাশাপাশি ঈদগড়ে গিয়ে মা-বাবার সেবা-শুশ্রূষাও করতেন।
এভাবেই মোটামুটি চলছিল মনছুর-মুবিনার সংসার এবং ইতিমধ্যে তাদের সংসারে দুই পুত্র সন্তানেরও আগমন ঘটে।
গত বছর মার্চ মাসে করোনাকালীন সময়ে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে, মনছুর তার স্ত্রীকে বাসা ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে চলে আসতে অনুরোধ করলে মুবিনা এসে কোনরকম এক মাস থেকে বলে “তোমার অসুস্থ বাবা-মার পায়খানা- প্রস্রাবের গন্ধ আমি আর সহ্য করতে পারব না তুমি তাদেরকে তোমার বড় ভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দাও যে একমাত্র ভাই ও যার অবস্থা নুন আনতে পান্তা ফুরায় এবং আমরা আমার বাবার বাড়িতে চলে যাই!” স্ত্রীর এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মুবিনা স্বামীর অবাধ্য হয়ে সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যায়।পরবর্তীতেও স্ত্রী-সন্তানদের মায়ার টানে মনছুর মাঝেমধ্যে শ্বশুরবাড়িতে যেত।
তারই ধারাবাহিকায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মনছুর শ্বশুর বাড়িতে গেলে স্ত্রী আবারো তাকে বাবা-মাকে ছেড়ে ভাড়া বাসায় চলে আসতে জোরাজুরি করলে মনছুর এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীকে চড়-থাপ্পড় দেই।
সাথে সাথেই আগ থেকে উঁৎপেতে থাকা স্ত্রীর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা মনছুরকে লাঠিসোটা নিয়ে গণপিটুনি দিয়ে ঈদগাঁও থানা পুলিশকে দিতে গেলে পুলিশ বলে “তোমরা যেহেতু তাকে এভাবেই মেরেছ আমরা আর নিতে পারবো না”এবং পরে তারা মনছুরকে স্থানীয় ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব ছৈয়দ আলমের কাছে নিয়ে গেলে ওনি এর সুরাহা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে মনছুরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
ঘটনা পরবর্তী আবার একটি অনলাইন পত্রিকায় “যৌতুক দাবিতে স্বামীর হামলায় স্ত্রীসহ আহত-৩” হেডলাইনে করা নিউজটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সাথে স্ত্রীর বেতনের টাকার প্রতিমাসে চেক লিখে নেওয়ার বিষয়টির ও কোন সত্যতা নেই বলে জোর দাবি করেন আহত মনছুর এবং মনছুরের আত্মীয়-স্বজন ও সতেচন এলাকাবাসী ও এটা মনছুরের বিরুদ্ধে নিতান্ত ষড়যন্ত্র বলে জানান।
এমতাবস্থায় অসহায় মনছুর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে বিষয়টির নিরপেক্ষ বিচার সাপেক্ষে সুষ্ঠু সুরাহা করার জন্য আকুল আবেদন করেন।