আমাদের ঘরে নবজাতকের আগমনকে ঘিরে চলছিলো আনন্দ। সবকিছু সুস্থ ও সুন্দরভাবে হবে আশায় দোয়া ও মোনাজাত। দিনটি ছিলো বৃহস্পতিবার ( ৪ ফেব্রুয়ারী)। দিবাগত রাত দুইটা। আমার সহধর্মিণীকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। গভীর রাতে ফোন দিলাম আমার বিপদাপদের পরিক্ষিত বন্ধু ও সহকর্মী রেজাউল করিম রেজাকে। জরুরি এ্যাম্বুলেন্স লাগবে। আধাঘণ্টা পেরুতেই গাড়ি হাজির। ততক্ষণে নবজাতক মা মনির আগমন বাড়ির পার্শ্ববর্তী ক্লিনিকে। কিন্তু, কান্নার কোনো আওয়াজ শুনতে পেলাম না। এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে পেকুয়া জেনারেল হাসপাতালে যাত্রা। দায়িত্বরত চিকিৎসক দেখাশোনার পর ভালো আপডেট দিতে পারলেন না। রেফার দিলেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। কিন্তু, পেকুয়া থেকে কক্সবাজার পৌছুতে যতক্ষণ সময় লাগবে ততক্ষণে চট্টগ্রামে পৌছা সম্ভব। এছাড়াও যদি কোনো কারনে সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা আবার চট্টগ্রামে রেফার করেন। অনেকটা সিদ্ধান্তহীনতায়।

চারিদিকে নিরাশার মেঘ। এই মেঘ ভেদ করে যাত্রা শুরু করলাম চট্টগ্রামের পথে। তখন ভোর পাঁচটা। যেতে যেতে ভাবছিলাম কোন হাসপাতালে এই মূহুর্তে দ্রুত চিকিৎসা পাবো।

স্ট্যাটাস দেখে ফোন দিলেন কক্সবাজার নিউজ ডটকমের বার্তা সম্পাদক ইমাম খাইর ও সিপ্লাস টিভির স্টাফ রিপোর্টার চৌধুরী রাসেল ভাই। কথা হলো, পরামর্শ দিলেন, সাহস দিলেন। আমার বাবা ও শ্বশুর বাড়ি থেকে শ্বশুরসহ আরো বেশ কয়েকজনের সাথে পরামর্শ করলাম। সবারই এক কথা আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল। এই হাসপাতালের চিকিৎসা ও নিয়ম সম্পর্কে আগের কোনো ধারণা নেই বললেই চলে। সময় সাড়ে সাতটা প্রায়। ফোন দিলাম হাসপাতালের আজীবন সদস্য বন্ধুজন তরুন সংগঠক লায়ন মাহমুদুর রহমান শাওনকে। এত সকাল সকাল তাকে ফোন দিয়ে পাবো কিনা ভাবতেছিলাম। সাথে রিং হচ্ছে। রিসিভ করলেন। এতো সকালের ফোনে অনেকটা আশ্চর্য হওয়ার কথা। প্রসঙ্গ তুলতেই বললাম বিস্তারিত। লাইন কেটে দিয়ে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসকের সাথে কথা বললেন এবং কনফার্ম করলেন এনআইসিওতে একটা সিট খালি হচ্ছে। আমি পৌছুতে নয়টা মিনিমাম লাগতে পারে। কেননা, মাঝপথে গাড়ির টায়ার নষ্ট হয়ে অতিরিক্ত সময় লেগে যায় ১ ঘন্টা। এরপরও আমাদের মা মনির কষ্ট হচ্ছে, অক্সিজেনও চলছে। কিছুক্ষণ পরপর তার দিকে তাকাই। ভেঙে পড়ার সুযোগ নেই। আমার মা মনিকে বাঁচাতে হবে। ততক্ষণে পরিবারে কান্না আর দোয়ার রুল শুরু। সময় পেরিয়ে ৮ টা ৪৫ মিনিট। পৌছে গেলাম আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে। বন্ধু শাওন আগেই বলে দিয়েছিলো, কিভাবে কি করতে হবে। হাসপাতালে একসময় চাকরির সুবাদে বেশকিছু বুঝে উঠতে সময় লাগলোনা। সাথে ছিলেন আমার শ্বাশুড়ি। হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে নিয়ে গেলাম মা মনিকে। অক্সিজেন চলছিলো। হাসপাতালের নবজাতক বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট জিয়াউর রহমান তাকে দেখলেন, বুঝলেন। ভূমিষ্ট হওয়ার সময় তৎক্ষনাৎ অক্সিজেন সংকটের কারনে ব্রেইনে এফেক্ট করেছে। খিচুনি শুরু হয়েছে। বলে দিলেন, মহাবিপদ। ফিরে আসা কঠিন। আবার ফিরেও আসতে পারে। ভর্তি দিলেন এনআইসিও ওয়ার্ডে।

চোখেমুখে অন্ধকার, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিপদে। বিশাল বিশাল সিরিয়ালের দু’টি স্লিপ দিলেন ওয়ার্ড থেকে। একটা ওষুধের অপরটি টেস্টের। হাসপাতালের এপার থেকে ওপারে দৌড়ঝাঁপ শুরু। অসহায় বাবা আমি। সাথে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন আর ফোন। কি হয়েছে তা বলার সুযোগ নেই, এই মূহুর্তে কি করতে হবে সেটাই মূল বিষয়। বারান্দায় এদিক ওদিক পায়চারি করছি, আর ভাবছি।

হাসপাতালে ওই দিনই চলছিলো পাশের খালি জায়গায় ক্যান্সার হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। খুব আগ্রহ জাগলো মনে, হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট অনেকের সাথে ও পেশাগত দায়িত্ব পালনে আসা সংবাদকর্মীদের সাথে দেখা হবে। তাদের সাথে বিষয়গুলো শেয়ার করতে পারবো। অনুষ্ঠান প্রায় শেষ পর্যায়ে। দেখা হয়ে গেলো হাসপাতালের পরিচালনা কমিটির অন্যতম লায়ন মোরশেদ হোসাইন, লায়ন ড. সানাউল্লাহ, এসএম কুতুবউদ্দিন, সিনিয়র সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ ভাইসহ অনেকের সাথে। ফরিদ ভাই আমাকে দেখে কক্সবাজার থেকে কখন গেলাম জিজ্ঞেস করতেই একপাশে নিয়ে গিয়ে সব বললাম। তিনি মোরশেদ ভাইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। মোরশেদ ভাই আমাকে তার নাম্বার দিলেন এবং সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন। সময় একটু গড়িয়ে পড়তেই আমাদের বস সিপ্লাস টিভির এডিটর ইন চিফ আলমগীর অপু ভাইয়ের ফোন। সবকিছু জানার পর বললেন, ওকে। চিকিৎসা চালিয়ে যাও। হাসপাতালে পরিচিতজনদের বলে দিচ্ছি। ভয় পেয়ো না, সাহস রাখো।

কক্সবাজার থেকে প্রিয় দুই ভাইয়ের ফোন। ব্যারিষ্টার রুহান রুবেল ও এডভোকেট রাশেদুল ইসলাম মুন্না। কোন অবস্থায় আছি, কি করতে হবে। চিকিৎসা ভালোভাবে চালিয়ে যাওয়ার সাহস দিলেন। এগিয়ে এলেন।

এভাবেই আশা নিরাশায় আর মা মনিকে নিয়ে চিকিৎসকদের হতাশাগ্রস্ত কথাবার্তায় কেটে গেলো একটি দিন। রাতে চিকিৎসকদের আপডেট। মা মনি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা ৫%। তবুও হতাশ হওয়ার সুযোগ নেই। বলে দিলাম, হাসপাতালের সর্বোচ্চ চিকিৎসা মা মনিকে দেন। আমাদের চেষ্টা চলুক। মহান আল্লাহর রহমত হলে অবশ্যই শূন্য থেকে তিনি মা মনিকে ফেরাবেন।

রাত প্রায় ১১ টা। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এসে সহধর্মিণীকে বাসায় তুলে দিয়ে সোজা আমার মানিকে দেখতে চলে এলেন বন্ধুবর মাহমুদুর রহমান শাওন। দেখার পর সাহস দিলেন, বললেন আল্লাহ ভরসা।

তার চলে যাওয়ার পর রাতে কোনো রকমে বেঁচে থাকতে মামার বাসায় ডিনার সেরে আবারও হাসপাতালে। ভাবছি আর আল্লাহর ওপর ভরসা করেই চলছি। কোরআনে বাণী অনুযায়ী কঠিন বিপদেও আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়ার সুযোগ নেই। আল্লাহর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। ভাবতে ভাবতে চেয়ারে বসেই কেটে গেলো একটি রাত। পরদিন সকাল।

সকালে ফোন আসে পিটুপির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্রদ্ধাভাজন রোটারিয়ান মোস্তফা আশরাফুল ইসলাম আলভী ভাইয়ের। তিনি জানতেন না আমি হাসপাতালে আছি। ফোন করেই বললেন, তুর মেয়েকে চট্টগ্রামে নিয়ে আয়। পরে নিয়ে আসার খবর শুনে খুশি হয়ে সাহস দিলেন। বাদ জাননি, ভাবিও।

আলভি ভাইয়ের ফোন রাখতেই কল দিলেন দীপ্ত টিভির চট্টগ্রামের ব্যুরো প্রধান লতিফা আনসারী রুনা আপা। সব বিষয়ে জানার পর হাসপাতালে পরিচিতজনদের বলে দিলেন কেয়ার করতে। তাছাড়া প্রতিদিন দু’বার করে আপডেট জানতেন তিনি। সাথে পাশে ছিলেন দীপ্ত টিভির কক্সবাজার প্রতিনিধি হারুন ভাইও। নিজে অসুস্থ, তবুও দেখতে গেলেন আমাকে।

শুধু ফোনে নয়, পাশে এসে সাহস দিয়ে যিনি মনোবল চাঙা করতে সহযোগিতা করেছেন দীর্ঘদিনের আন্দোলন সংগ্রামে সাথে থাকাদের একজন বহদ্দারহাটের অভিজাত রেস্টুরেন্ট কাশ্মীর এর পরিচালক যিকরু হাবিবীল ওয়াহেদ।

লন্ডন থেকে আমার মামা সা’দ উল্লাহ ফেসবুক স্ট্যাটাস পেয়ে ইনবক্সে নক দিলেন। সবকিছু জেনে নিয়ে সাহস দিলেন।

পরদিন ৬ ফেব্রুয়ারী ফোন দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি, তারুণ্যের প্রতীক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী। দীর্ঘদিন চট্টগ্রামে থাকতে তিনি খুব স্নেহ করতেন, ভালো বাসতেন। মেয়ের বিষয়টি শুনে আমাকে শক্ত থাকার পরামর্শ দিলেন। সাহস দিলেন বিভিন্নভাবে। একইদিন আমাদের কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও শ্রদ্ধাভাজন জাহেদ সরওয়ার সোহেল ভাইয়ের ফোন। কিভাবে আছি, চিকিৎসা কিভাবে চালাচ্ছি, সবকথা শুনলেন, সাহস দিলেন।

একইভাবে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সাংবাদিক ও আমরা কক্সবাজারবাসী সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রদ্ধাজন মহসিন শেখ ভাইয়ের ফোন। বিভিন্ন পরামর্শ, আলোচনা, সাহস দেওয়া ও মনোবল শক্ত রাখার অনেক কথা।

এদিকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের সহকারী ম্যানেজার আমান মামা। কখন কি অবস্থা চলছে সব বিষয়ে আপডেট দিচ্ছিলাম তাঁকে। হাসপাতালে একই ফ্লোরে মাকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আছেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা মহরম ভাই। একটু খারাপ লাগলেই পাশে ডেকে নিতাম তাঁকে। পাশে থেকে সান্ত্বনা ও সাহস দিতেন।

চারিদিক থেকে আসতে থাকে ফোন আর ফোন। দেশ বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পরিচিতজনদের ফোন। এমন বিপদে না পড়লে হয়তো বুঝতাম না, কে আপন কে পর বা বিপদের প্রকৃত বন্ধু কারা। এমন কঠিন মূহুর্তে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা ও সাহস যুগিয়ে যাদের কাছে চির ঋণী হয়ে গেলাম, তাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ছোট করতে চাই না। যাদের জন্য জীবনে কোনো সহযোগিতা করার সুযোগ হয়নি এমন চট্টগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন, কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন, এটিএন বাংলার বার্তা সম্পাদক আশরাফুল কবির আসিফ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ ও নাগরিক টিভির বার্তা প্রধান দীপ আযাদ , বেসরকারি এনজিও সংস্থা কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী, সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মামা, খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন চেয়ারম্যান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান, ইকরা বীচ রিসোর্ট এর পরিচালক হাসান মুরাদ আনাচ, উদীয়মান রাজনীতিক ও সমাজসেবক খলিল উল্লাহ চৌধুরী, সিটিজি সংবাদ এর প্রকাশক লায়ন আবু তাহের, কক্সবাজার টিভির সিইও অনুজ আমিনুল ইসলামসহ বেশ ক’জন পাশে ছিলেন অনায়াসে।

যাদের কথা না বললে আমার লেখার পুরোটা অসহায়, তারা হলেন ব্লাড ডোনারগন। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতেই ফোন আর ফোন। কয়েকজনের মধ্যে তরুণ উদ্যোক্তা ও আমার দীর্ঘদিনের প্রিয় মানুষ শ্রদ্ধাজন তানভীর শাহরিয়ার রিমন, আমরা ক’জন মুজিব সেনার চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল হকসহ আরো অনেকে। এদের মধ্যে প্রিয় নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি ভাই, অনুজ আরমান, আরিয়ানসহ বেশ ক’জন প্রস্তুত ছিলেন ব্লাড দিতে ও ম্যানেজ করতে।

কিন্তু, আল্লাহর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। টানা দু’দিন পরিপূর্ণ অক্সিজেনে ও চারদিন লাইফ সাপোর্ট থাকার পর ১০ ফেব্রুয়ারী বিকেল চারটা ৪৫ মিনিটে মা মনি মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে জান্নাতের পাখি হিসেবে চলে যায়। তৎক্ষনাৎ চারিদিক সবার ফোন। আমাকে ভেঙে না পড়ার পরামর্শ। আমিও নিজেকে শক্ত রাখার চেষ্টা করলাম। বুকে পাথর চাপা দিয়ে সবকাজ করতে লাগলাম। তৎক্ষনাৎ উপস্থিত হলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, দীপ্ত টিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান লতিফা আনসারী রুনা, মাহমুদুর রহমান শাওন, ছাত্রনেতা রেজাউল করিম রিটন, আবদুর রাকিবসহ কয়েকজন।

প্রায় দু ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালের সব কাজ সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেন আমাদের বস, সিপ্লাস টিভির এডিটর ইন চিফ আলমগীর অপু ভাই ও শাওন ভাই। পরে বাসা হয়ে পেকুয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। আমাদের বাসায় গিয়ে আমার সহধর্মিণী ও সবাইকে সান্ত্বনা দেন রুনা আপা। পরে নিজের গাড়ি নিয়ে মইজ্জার টেক পর্যন্ত পৌঁছে দেন। আমরা রাত ১১ টার দিকে পেকুয়ায় পৌছি। সব কাজ শেষ করে আমার শ্বশুর বাড়ি সংলগ্ন কবরস্থানে মা মনির দাফনকাজ সম্পন্ন হয়।

আমাদের শুরু থেকে অনেকে অনেকভাবে সহযোগিতা করেছেন। কেউ ফোনে, কেউ সরাসরি এসে বা বিভিন্নভাবে। সাথে সাহস দিয়েছেন বিভিন্ন পত্রিকায় কর্মরত সহকর্মীরা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রিয় সংগঠন পরিবর্তন চট্টগ্রাম এর সভাপতি মহোদয়সহ সদস্যবৃন্দ, শুভাকাঙ্ক্ষীরা। পাশাপাশি আত্মীয় স্বজনরা। আবার অনেকে আমি বিরক্ত হবো বা ব্যস্ত থাকবো ভেবে ফোন দেন নি। সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি আপনাদের কাছে চির ঋণী হয়ে রইলাম।।

কৃতজ্ঞতায়-
এহসান আল কুতুবী
স্টাফ রিপোর্টার, সিপ্লাস টিভি।