তাওহীদুল ইসলাম নূরী:
চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের এক শিক্ষকের পৈতৃকসূত্রে ভোগদখলীয় পুকুরে পুর্বশত্রুতার জেরে বিষপ্রয়োগ করেছে দুর্বৃত্তরা। ইউনিয়নের ০৫ নং ওয়ার্ডের ফকিরপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ফকির পাড়া এলাকার মরহুম মাষ্টার আবদুল হকের পুত্র আশরাফুল এহেছান পৈত্রিকসূত্রে তাহার বসত বাড়িস্থ পুকুরটি ভোগ করে আসছেন। প্রতিবছর পুকুরটিতে তিনি বিভিন্ন রকমের মাছ চাষ করে থাকেন। এ বছরও তিনি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে মৎস্য পোনা অবমুক্ত করে মাছ চাষ শুরু করেন। দিন দিন তার মাছ বৃদ্ধি এবং সার্বিক উন্নতি দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে এলাকার নুরুল আজিম মানিক হঠাৎ করে পুকুরে তার স্বত্ব দাবী করে বসে। শুরু করেন বিভিন্ন ষড়যন্ত্র।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ১১.৩০ এর দিকে মানিক ও তার লোকজন চুপিসারে পুকুরে এসে বিষ নিক্ষেপ করে। প্রতিদিনের মত বাড়ি থেকে পুকুরে টর্চের আলো নিক্ষেপ করলে মানিক ও তার লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়।

আশরাফুল এহছান নামে ভোক্তভোগী এই শিক্ষক জানান, বিষ প্রয়োগের ফলে ঘটনার পরের দিন ভোর বেলায় তার পুকুরে উৎপাদিত ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতির মৃত মাছ ভেসে উঠে। রুই, কাতাল, নাইলোটিকা, মৃগেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১০ মণেরও বেশি মাছ এতে শেষ হয়ে গেছে। যার বাজার মূল্য প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা। এলাকার অনেক লোকজন এই ঘটনার সাক্ষী আছেন।
তিনি আরও জানান, এলাকার দুষ্কৃতকারী লোকটি যে পুকুরটির স্বত দাবী করছেন ১৭/০৪/১৯২৫ সাল থেকে ৭১৫নং রেজিঃ কবলানমূলে তার দাদা ও পিতা পুকুরটি ভোগ করে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের মৃত্যুর পর তিনি বর্তমানে পুকুরটি ভোগ করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে এলাকার মোহাম্মদ ইউনুস, জহির রায়হান ও নুর মোহাম্মদসহ আরও কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, পুকুরটিতে মানিক ও তার পরিবারের কখনোই কোনরূপ স্বত্ব দখল এবং মালিকানা ছিল না এবং এখনো নাই। শুধু এই পুকুরটির নয়, মানিক নামে এই লোকটি এলাকার আরও বিভিন্ন জায়গা জমিতে তার স্বত্ব আছে বলে বার বার দাবি করলেও প্রতিবারই সালিশে গিয়ে সে হেরেছে। এটাও তার ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ।

এদিকে আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) আশরাফুল এহছান এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। উল্লেখ্য, তিনি ইতিপূর্বে বেআইনিভাবে তার জায়গা দখল ও মৎস্য চাষে ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করলে মানিক ও তার স্ত্রী রৌশন আকতারসহ অজ্ঞাত নামে আরও ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় জিডিও করেন।