আবুল কালাম, চট্টগ্রাম :

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি আগামী মার্চ এপ্রিলের দিকে কেন্দ্র থেকে ঘোষিত হতে যাচ্ছে। এই নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে কে হচ্ছেন সভাপতি সাধারণ সম্পাদক।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, আগামী মার্চ এপ্রিল মাসের যে কোন সময়ে বহু আগেই মেয়াদ উত্তীর্ণ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্র থেকে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে। ইতিমধ্যে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহীরা কেন্দ্রীয় দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতাদের সাথে জোর লবিং শুরু করেছেন বলে যানা যায়। স্হানীয় নেতাদের বিগত দিনের কাজের আমল নামা গোয়েন্দা সূত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলীয় সভানেত্রীর টেবিলে ইতিমধ্যে জমা হয়েছে।

বর্তমান কমিটির সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর সিনিয়র সহ সভাপতি শাররীক ভাবে অসুস্হ মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করলেও তাঁর অসুস্থতার কারণে এবং সহ সভাপতি, সম্পাদক মন্ডলী ও সদস্যদের বেশ কয়েক জন দলীয় কর্মকান্ডে নিস্ক্রিয়তায় নতুন কমিটি জরুরি হয়ে পরেছে।

এই দিকে কমিটির যুগ্ম সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী দলীয় মনোনয়নে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় দলীয় কাজে সময় দেওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই দলীয় হাই কমান্ড মেয়রকে তাঁর কাজে মনোযোগী থাকার জন্য দলীয় মূল পদে রাখতে আগ্রহী নয় বলে যানা যায়।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় দলীয় প্রধান এবারের কমিটিতে দলীয় কর্মকান্ডে সক্রিয় ত্যাগী যোগ্য মেধাবী সৎ ও জন সংপৃক্ত জনপ্রিয় নেতাদের সমন্বয়ে কমিটি করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাই দলীয় হাইকমান্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে চট্টগ্রাম মহানগর নেতাদের আমল নামা ইতিমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে।

সূত্র মতে এবার চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ছোট তালিকায় রয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সহ সভাপতি, বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জনকারী সদ্য সাবেক চসিক প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন। নেত্রী সাবেক প্রশাসকের কাজে সন্তুষ্ট। তাই দীর্ঘ দিনের পরীক্ষিত আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম সুজন সভাপতি পদে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে আছেন। তালিকায় আরো আছেন বর্তমান সহ সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন বাবুল, আলতাফ হোসেন বাচ্চু এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। তালিকার চার জনেরই রেয়েছে সাংগঠনিক হাই প্রোফাইল।এই চারজনের মধ্য থেকেই সভাপতি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করার সম্ভাবনা ৭০% ।এদের মধ্যে বাদ যাওয়াদের একজন সি ডি এ’র চেয়ারম্যান হবেন নিশ্চিত। সূত্রে আরও জানা যায় সিনিয়র এই চারজনের সাথে বিকল্প হিসাবে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরীর নামও রয়েছে। যদি সিনিয়র চার নেতার বাহিরে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয় তহলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরীর নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে সাংগঠনিক কার্যক্রমের অতীত ও বর্তমান অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সাথে যোগ হয়েছে করোনা কালে মসিউর রহমান চৌধুরীর নগরবাসীর সেবায় মাঠে থাকা সহ বন ও পরিবেশ সম্পাদক হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত গাছ লাগাও কর্মসূচী নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে সফলভাবে পরিচালনা করা। তাই সাধারণ সম্পাদক পদে ছাত্র লীগ যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের কাছে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় মসিউর রহমান চৌধুরীর নাম ঘোষিত হলে বিস্ময়কর হবে না।
তবে সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক পদে আপাতত এই পাঁচ নেতার নামই দলীয় প্রধানের ছোট তালিকায় সীমাবদ্ধ রয়েছে। এই তালিকায় নতুন নাম সংযোজনের সম্ভোবনা খুভই কম।তিনি কাকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করবেন তিনিই ভালো ভাবে জানেন।চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া তাঁর একক এক্তিয়ার হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দলীয় প্রধান শুধু মাত্র চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় নেতা হিসাবে প্রেসেডিয়াম সদস্য জননেতা মোশাররফ হোসেন ও মন্ত্রী নওফেলের পরামর্শ নিতে পারেন বলে সূত্রে জানা যায়।