মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

মহেশখালী উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন এস. এম আলমগীর (২০৬৮০)। গত ৯ ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) খন্দকার জহিরুল ইসলাম কর্তৃক স্বাক্ষরিত রাজস্ব শাখা থেকে ৮৮ নম্বর স্মারকে জারীকৃত এক প্রজ্ঞাপনে এস.এম আলমগীর সহ ১১ জন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তাকে ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসাবে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন উপজেলায় নিয়োগ দেওয়া হয়।

মহেশখালীর নতুন এসি ল্যান্ড হিসাবে নিয়োগ পাওয়া এস. এম আলমগীরকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসাবে পদায়িত করার জন্য তাঁর চাকুরী চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এর কার্যালয়ে ন্যস্ত ছিলো। মহেশখালীর নতুন এসি ল্যান্ড এস.এম আলমগীর এর নিজের ও শ্বশুর বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়।

অপরদিকে, একই প্রজ্ঞাপনে মহেশখালী উপজেলার বর্তমান সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোরশেদ আলম চৌধুরী (১৭৮৯২) কে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আবার লোহাগাড়া উপজেলার বর্তমান সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী (১৮১৪১) কে পটিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

পটিয়া উপজেলার বর্তমান সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ ইনামুল হাসান (১৮১৮৩) কে চট্টগ্রাম মহানগরীর কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

মহেশখালী উপজেলা ভূমি অফিসে সার্ভেয়ার ও উপ সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশীলদার) দুর্নীতির অভিযোগে দুদক কর্তৃক গ্রেপ্তার হওয়ার পর উক্ত অফিসের একে একে সব কর্মকর্তাকে বদলি করা হলো।

এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারী মহেশখালী উপজেলা ভূমি অফিসের বহুল আলোচিত কানুনগো মো: বিলিয়ান-কে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ভূমি অফিসের কানুনগো হিসাবে বদলী করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মহেশখালীর মাতারবাড়ীর কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র, গ্যাস লাইন স্থাপন, ধলঘাটা ইকোনমিক জোন সহ সরকারের বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ সহ সেখানকার জমিজমার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের চরম অভিযোগ উঠে মহেশখালী ভূমি অফিসের প্রায় সকলের বিরুদ্ধে।