শাহেদ মিজান, সিবিএন:

পরিবারে একটু স্বচ্ছলতা আনতে মা-বা, স্ত্রী-সন্তানের মায়া কাটিয়ে দূর প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছিলেন কুতুবজোমের আবদুল আজিজ, ইসহাক মিয়া ও রফিক উদ্দীন। এর মধ্যে আবদুল আজিজ ৭ বছর এবং রফিক ও ইসহাক ৫ বছর ধরে রয়েছেন মদিনায়।

এই সময়ে একটু একটু পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরানোর জন্য অমানুষিক পরিশ্রম করে যাচ্ছিলেন তারা। এর মধ্যে লকডাউনে পড়ে থমকে ছিলো জীবন চাকা। করোনার প্রভাব কাটিয়ে আবার কাজে ফিরেছিলো এই প্রবাসীরা। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস; অগ্নিকান্ডে নিভে গেছে এই তিন জীবনযোদ্ধার জীবনপ্রদীপ।

১০ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে মদিন মনোয়ারার আল খলিফা এলাকায় সোফা কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে এই তিনজনসহ সাত বাংলাদেশীর মারা গেছে।

স্বজন হারিয়ে শোকের সাগরে ভাসছে ঘটিভাঙার আবদুল আজিজ, ইসহাক মিয়া ও রফিক উদ্দীনের স্বজনরা। অন্যদিকে পরিবারের উপার্জনক্ষম মানুষের চির বিদায়ে অন্ধকার হয়ে গেছে তাদের জীবন। তাই আহাজারি ও শোকের মাতমে ভাসছে তারা।

ঘটিভাঙা গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে এমন করুণ দৃশ্য দেখা গেছে।

মারা যাওয়া আবদুল আজিজ, ইসহাক মিয়া ও রফিক উদ্দীনের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ নিতে তাদের বাড়িতে গেছেন কুতুবজোম ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন খোকন। তাকে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শোকে বিহ্বল স্বজনেরা।
প্রাণের স্বজনকে হারিয়েছেন চিরতরে। তবে মৃত হলেও মুখটা শেষবারের জন্য একবার দেখার আকুতি স্বজনদের। তাই মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের কাছে দাবি নিহতদের পরিবারের সদস্যদের। প্রিয়জনকে শেষ বারের মতো দেখতে চায় স্বজনেরা।

মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন খোকন।
নিহতদের লাশগুলো দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানাবো। তারপরও জেলা প্রসাশক মহোদয়ের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।

উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে তিন পরিবার এখন নিঃস্ব। সহযোগিতার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান
জানিয়েছেন স্থানীয়রা।