সড়কে মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলছে

ফারুক আহমদ , উখিয়া :

উখিয়ায় ৫ শতাধিক অবৈধ ডাম্পারের বেপরোয়া চলাচল থামাবে কে। ঘাতক এসব ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য লোক। সচেতন নাগরিক সমাজের প্রশ্ন রোড পারমিট ও লাইসেন্সবিহীন এসব ডাম্পার চলে কিভাবে।
গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, অদক্ষ ও প্রশিক্ষণবিহীন ড্রাইভারের বেপরোয়া ডাম্পারের কারণে মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলছে। একের পর এক কেড়ে নিচ্ছে তাজা প্রাণ। ডাম্পারের ড্রাইভারদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই বললেই চলে।
অভিযোগে আরও প্রকাশ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সড়কে দায়িত্বে নিয়োজিত ট্রাফিক পুলিশকে মাসিক মাসোহারা দিয়ে অবৈধ ডাম্পার গুলো চলাচল করছে। অবৈধভাবে পাহাড় কর্তন করে মাটি পাচার করা হচ্ছে ডাম্পারের প্রধান কাজ। বালু ও মাটি খেকো হিসেবে ডাম্পার কে ব্যবহার করছে সিন্ডিকেট সদস্যরা। আর এসব অবৈধ কাজে মোটা অংকের টাকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পৌঁছে যায়।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন, অবৈধ ডাম্পার গুলো এখন সড়কে ঘাতক হিসেবে রূপ ধারণ করেছে। বেপরোয়া গতিতে চলাচল কারী ডাম্পারের চাকায় পৃষ্ট হয়ে নিহত হচ্ছে একের পর এক। শুধু তাই নয় সড়ক দুর্ঘটনায় উখিয়ায় দিন দিন মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে।
জানা গেছে,গতকাল বুধবার ঘাতক ডাম্পারের দুর্ঘটনায় শিকার হয়ে প্রাণ হারান উখিয়া উপজেলা পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর শাহ রেজা।তিনি রত্নাপালং গ্রামের বাসিন্দা বেলা মাজির পুত্র। একই স্থানে মিশেল নামের এক কলেজ ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যুর শোক কাটতে না কাটতে ঘাতক ডাম্পারের চাকায় পৃষ্ঠ শাহ রেজার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে । শুধু তাই নয় দ্রুতগামী ডাম্পারের আঘাতে নিহত হন রুমখা চৌধুরী পাড়া গ্রামের বয়োবৃদ্ধ জামাল উদ্দিন।এছাড়াও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সিরাজুল হক বিএ ও সিরাজুল হক ডালিম নিহতের ঘটনা এখনো পারিনি। কিছুদিন আগে ডাম্পার প্রাণ কেড়ে নেন উখিয়া সদরের ঘিলাতলী পাড়া গ্রামের নাজির উদ্দিনের। এভাবে অসংখ্য মানুষের প্রাণ অকালে কেড়ে নিচ্ছে ঘাতক ডাম্পার।
একাধিক জন নাগরিক অভিযোগ করে বলেন কতিপয় পরিবহন সংগঠন ব্যানারে অবৈধ ডাম্পার বিনা বাধায় চলাচল করছে। পারমিট বিহীন ও লাইসেন্স ছাড়াই এসব ডাম্পার চলাচল করলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দেখেও দেখছে না।
সচেতন নাগরিক সমাজ মানুষের জানমাল রক্ষা ও মৃত্যুর কবল থেকে বাঁচাতে অবৈধ ডাম্পার চলাচল বন্ধ সহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।