শাহেদ মিজান, সিবিএন:

কক্সবাজারের ইয়াবা চালান আটকের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ চালান আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে চৌফলদন্ডী ব্রীজ সংলগ্ন একটি বোটসহ আটক করা এই চালানটি কক্সবাজার শহরে ঢুকছিলো। খালাসের জন্য এই চালানটি কক্সবাজার ৬নং ঘাটের আসছিলো। ৬নং ঘাট হয়ে কক্সবাজার শহরেরই এই চালান ছড়িয়ে যেতো। এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন চালানের সাথে আটক দুই পাচারকারী।

চালানের সাথে আটক পাচারকারীরা হলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়ার নজরুল ইসলামের পুত্র চিহ্নিত ইয়াবাকারবারি জহিরুল ইসলাম ফারুক ও একই এলাকার মোজাফ্ফর আহামদের পুত্র মোঃ বাবুল। জহিরুল ইসলাম ফারুক কক্সবাজার পৌর যুবদলের সদস্য বলে জানা গেছে।

গ্রেফতারের পর তারা পুলিশকে জানিয়েছেন, চালানটি মিয়ানমার থেকে এসে প্রথমে ইনানীতে নোঙর করে। সুযোগ থেকে বুঝে ভারুয়াখালী ঘাটে অবস্থান থেকে। সেখান থেকে উদ্দেশ্য ছিলো কক্সবাজার ৬নং ঘাট। পথিমধ্যে চৌফলদন্ডী ঘাটে নোঙর করে। সেখানেই ডিবি পুলিশের কব্জায় পড়ে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, একটি বৃহৎ ইয়াবা চালান কক্সবাজারে দিকে আসছে- এমন খবর পায় গোয়েন্দা পুলিশ। এই খবরের সূত্র ধরে জেলের ছদ্মবেশে কয়েকজন ডিবি পুলিশ সদস্য এই চালানের পিছু ধরে। সোমবার থেকে এই বোটের পিছু নেয়া হয়। চুড়ান্তভাবে নিশ্চিত হয়ে পুলিশের একটি বড় দলসহ অভিযান চালানো হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়ার নজরুল ইসলামের ইয়াবাকারবারি জহিরুল ইসলাম ফারুক চিহ্নিত ইয়াবা মাফিয়া। তিনিও আরো কয়েজনের নেতৃত্বে তাদের একটি বড় চক্র রয়েছে। চক্রটি দীর্ঘদিন নানা ছদ্মবেশে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে আসছিলো। চালানগুলো এনে কক্সবাজার শহরসহ সারাদেশে পাচার করতো। জহিরুল ইসলাম ফারুকদের ইয়াবা চক্রের খপ্পরে পড়ে নুনিয়ারছড়ার বহুজন ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত পড়েছে। একইসাথে এলাকায় ইয়াবা সেবনকারীও বেড়ে গেছে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, আটক এই ইয়াবা চালানের সাথে জড়িত চক্রের সদস্যদের বিষয়ে অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

মাদকের বিরুদ্ধে জিরোটলারেন্স নিয়ে কাজ করছে জেলা পুলিশ। মাদকের ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই বলে হুঁশিয়ারি দিলেন পুলিশ সুপার।