নিজস্ব প্রতিবেদক :
সারা বিশ্বের কাছে যে সমুদ্র সৈকত সমাদৃত সেটিই এখন দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। এখন আর অহংকার করে অবিচ্ছেদ্য সমুদ্র সৈকত বলার সুযোগ নেই। এভাবে চলতে থাকলে সমুদ্র সৈকত খণ্ড খণ্ড হতে বেশিদিন সময় লাগবে না।
অন্যদিকে মহেশখালীর কোহেলিয়া নদীকে মেরে ফেলে করা হচ্ছে সড়ক। অথচ যে নদীর উপর নির্ভর ছিলো ৩ থেকে ৪ হাজার জেলের জীবিকা। এইভাবে একের পর এক সমীক্ষা ছাড়া উন্নয়ন পরিবেশের ধ্বংসের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার দুপুরে কক্সবাজার পৌরসভা চত্বরে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন—বাপা’র কক্সবাজার জেলা শাখা আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। বাপা আয়োজিত ওই সমাবেশে কক্সবাজারের ১৫ টি পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠন যোগ দেয়।
বাপা কক্সবাজার শাখার সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কলিম উলাহ’র সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বাপা’র সহ—সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কানন পাল, সাবেক কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম, কক্সবাজার উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক রুহুল আমিন সিকদার, সাংবাদিক ফরিদুল আলম শাহীন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সিনিয়র সহ—সভাপতি সাংবাদিক সাইফুর রহীম শাহীন, সাংবাদিক মোর্শেদুর রহমান খোকন, সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা, জেলা বাপার সহ—সভাপতি নুরুল আমিন সিদ্দিকী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক খেলাঘর আন্দোলন নেতা জসিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম নজরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা ঈসমাইল সাজ্জাদ, রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক ওসমান গণি, সাংবাদিক মো. শফিক, সহ—সাংগঠনিক সম্পাদক আজিম নিহাদ, কোষাধ্যক্ষ কমরেড সমীর পাল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আজিজ রাসেল, দপ্তর সম্পাদক দোলন ধর, সাংস্কৃতিক সংগঠক কল্লোল দে, সৌরভ দেব, নারীনেত্রী ফাতেমা আলম, বাপা সদর উপজেলা শাখার সভাপতি রেজাউল করিম, বাপা শহর সভাপতি কফিল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির, বাপা মহেশখালী শাখার সভাপতি মোসাদ্দেক ফারুকি, সহ—সভাপতি সালাহ উদ্দিন নুরী পিয়ারু, সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিকী, কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের সংগঠক আনছারুল করিম, শিক্ষক আমিনুল ইসলাম, দর্জি মহিলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফাতেমা আক্তার, দরিয়া নগর গ্রীণ ভয়েজের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান সায়েম, সেভ দ্যা নেচার বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি ইফাজ উদ্দিন ইমু, নতুন বাহারছড়া সমাজ কল্যাণ সংঘের সভাপতি ফরিদুল আলম, কক্সিয়ান এক্সপ্রেসের সংগঠক মকসিদুর রহমান অভি, সদর মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ইয়াকুব, জাতীয় পরিবেশ মানবাধিকার সোসাইটির চেয়ারম্যান ছৈয়দ উল্লাহ আজাদ, জাহাঙ্গীর আলম, রাখাইন একতা সংঘের সভাপতি উসেন থোয়েন, রিয়াদ মো. ফরিয়াদ, নাজমুল হোসেন মিঠু, অনুপম চক্রবর্তী, সাহেদুল ইসলাম, আজিজ রিপন, পারভেজ মোশারফ, মোহাম্মদ হাসান, মো. ফরিদ, মো. রাসেল, কাইমুল ইসলাম ছোটন, ইয়ুথনেট ফর কস্নাইমেট জাস্টিসের সংগঠক জিমরান মোহাম্মদ সায়েক, ছাত্রনেতা রায়হান সিদ্দিকী, ওমর ফারুক হৃদয়, ছাত্রনেতা নাফিস ইকবাল, ফয়সাল রিয়াদ, সাকিবুর রহমান।
এসময় সমাবেশের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন পরিবেশ ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এইচএম নজরুল ইসলাম বলেন, উন্নয়ন হতে হবে মানুষ এবং পরিবেশকে রক্ষা করার জন্য। কোন প্রকল্প গ্রহণ করার আগে স্থানীয় মানুষের গণশুনানি করতে হবে।
ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, নিজেদের পরিচয় টিকিয়ে রাখার জন্য সমুদ্র সৈকত দ্বিখণ্ডিত করার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে হবে। কোহেলিয়া নদীকে ধ্বংস করে কোন উন্নয়ন প্রকল্প চলতে দেয়া যাবে না।
কলিম উল্লাহ বলেন, পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই, যারা নিজেদের পরিবেশ ও অস্থিত্ব ধ্বংস করে অতিথি আপ্যায়নের ব্যবস্থা করে। তাই অতিথি আপ্যায়নের নামে সমুদ্র সৈকত দ্বিখণ্ডিত করার প্রচেষ্টা বন্ধ করার বিরুদ্ধে এবং কোহেলিয়া নদী রক্ষায় সবাইকে সোচ্চার হওয়া হতে হবে।