রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারের স্থানীয় দৈনিক আজকের দেশবিদেশ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি এড. মোঃ ছমি উদ্দিনের বক্তব্য’ শিরোনামে যে সংবাদটি ছাপানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বনোয়াট। এই সংবাদ সম্পর্কে আমার ব্যাখ্যা নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ

আমার পিতা মরহুম মৌলভী বখতিয়ার আহমদ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ১৭ বছর ইউপি সদস্য হিসেবে জনসেবা করে গেছেন। তাহার মৃত্যুর আমি (হেলাল উদ্দিন)উপ-নির্বাচনে বিপূ্ল ভোটের ব্যবধানে প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে পরাজিত করে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হই। এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি ইউপি সদস্য হিসেবে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ বছর সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগের সহযোগি সংগঠন আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগের উখিয়া উপজেলা সভাপতি এবং রাজাপালং ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। আমার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়। স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করে স্থানীয় সংসদ আমাকে সভাপতি পদে নিযুক্ত করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা বোর্ডের বরাবর সুপারিশ করেন৷

কিন্তু কিছু ষড়যন্ত্রকারী স্কুলের যারা উন্নয়ন চায় না। তারা বিভিন্ন মিথ্যাচার করে স্কুলের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে চায়। বিশেষ করে কুতুপালং গ্রামের একজন ব্যক্তি যিনি কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে ভরাডুবি হয়, তিনি সবসময়ই চায় এলাকার উন্নয়ন বঞ্চিত করতে। তারাই মূলত আমার এবং আমার মরহুম পিতার বিরুদ্ধে নানা মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করে এলাকার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার কুতুপালং গ্রামে বিশাল উন্নয়ন করেছে। যা ইতিমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। আরা যারা মিথ্যাচার করছেন তৎমধ্যে ছমি উদ্দিন নামক ব্যক্তিটি একজন মুখোশধারী ঘাতক, তিনি কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। তিনি অসংখ্য মানুষকে জামিনের কথা বলে টাকা আত্মসাৎ করেছে৷

তাছাড়া এই ছমি উদ্দিন চট্টগ্রামের আলোচিত এইট মার্ডারের শিবিরের নেতা নাছির সহ অপরাপরদের জাল-জালিয়াতি মাধ্যমে জামিন নেওয়ার অভিযোগে সনদ বাতিল হয়েছিল। সে কুতুপালংয়ের ভোটার হলেও তার কোন অস্থিত্ব নেই এলাকায়। জন বিচ্ছিন্ন একজন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত তিনি। সম্প্রতি স্থানীয় এক প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় কুতুপালং বাজারে ডাক্তার সুমনের জায়গায় দখল করে রেখেছে এই ছমি উদ্দিন।

কুতুপালং ১৫/১৬জন ব্যবসায়ির নিকট থেকে সেলামী বাবদ ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে । এসব টাকা চাইতে গিয়ে অনেকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।

হেলাল বলেন, ছমি উদ্দিন দীর্ঘ ৬মাস কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি থাকাকালীন স্কুলের কোন উন্নয়ন হয়নি, বরং রোহিঙ্গা ভর্তি এবং অতিরিক্ত ফি আদায় নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য হিসেবে আমি প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে এহেন কথাবার্তা বলে বেড়াচ্ছে।

আমার পিতা বেচে থাকতে তার সাথে জমির বিরোধ ছিলো। তার দখলে থাকা জমিতে বর্তমানে আমার পিতার জমি আছে যার বিএস ৭৮৬২,৭৮৬৩ দাগ। এসব জমি চাইবো বলে সে নানা ষড়যন্ত্র করছে।

পত্রিকায় তার বক্তব্যে বলা হয়েছে, আমি নাকি কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর বায়তুল মাল সম্পাদক ছিলাম, এধরনের কোন প্রমাণ যদি দেখাতে পারেন তাহলে শাস্তি মাথা পেতে নেব। আর আমার মরহুম পিতার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা মূলত একটি বানোয়াট মামলা, যার কারনে ওই মামলায় নির্দোষ প্রমানিত হয় আমার পিতা, অথচ ওই মামলার বিভিন্ন অজুহাত ৯ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে ছমি উদ্দিন৷ আর আমার এবং আমার পিতার বিরুদ্ধে যেসব মামলার কথা বলা হয়েছে, সেটি সবাই জানে। এটি একটি ষড়যন্ত্র মূলক ঘটনা। যার পেছনে হাত রয়েছে জনৈক এড.ছমি উদ্দিন সহ অপরাপরদের বিরুদ্ধে। তারা আমার পিতাকে হত্যা করেছে বলে বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে বলে বেড়াচ্ছে। বর্তমানে অামাদের অনেক জায়গা তার দখলে রয়েছে। সেগুলো নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। তারা আমার পিতা মতো আমাকেও মামলা, হামলায় জড়িয়ে হত্যা করে লাশ ঘুম করে ফেলবে মর্মে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগতেছি। আশাকরি এ বিষয়ে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করবেন। পরিশেষে উক্ত দুনীতিবাজ ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুস্থ তদন্ত পূর্বক কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে সভাপতি পদ হতে সরিয়ে দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের নিকট দাবী জানাচ্ছি।

হেলাল উদ্দিন
ইউপি সদস্য, রাজাপালং ৯নং ওয়ার্ড
উখিয়া, কক্সবাজার।