জাহাঙ্গীর আলম কাজল,নাইক্ষ্যংছড়ি:
সারাদেশে গণহারে করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করার পর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যন অধ্যাপক মো: শফিউল্লাহ ও নাইক্ষ্যংছড়িতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা আবু জাফর মো, ছেলিম, ডা: রায়হান, ডা: রনজন চৌধুরী, ডা: তপন করোনা ভ্যাকসিন (টিকা) গ্রহণ করেন।

রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে করোনা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন করোনা প্রতিরোধ কমিটির উপদেষ্টা উপজেলা চেয়ারম্যন অধ্যাপক মো: শফিউল্লাহ, করোনার কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,নাক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন,প্রেসক্লাব সভাপতি শামীম ইকবাল চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম কাজল, দপ্তর সম্পাদক জয়নাল আবেদীন টুক্কু মো: ইউনুছ প্রমূখ।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাদিয়া আফরিন কচি বলেন, ‘আমরা আজকে একটি মহৎ কাজ করতে যাচ্ছি। বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ দেখা দেয় ৮ মার্চ। তখন আমরা রোগী শনাক্ত করতে সক্ষম হই। তখন থেকেই আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করি। সব কিছু মিলিয়ে আমরা সুফল পায়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা এগোতে থাকি। অনেক সমালোচনা হয়েছে, সমস্ত সমালোচনার উর্ধ্বে উঠে আমরা কাজ করতে থাকি।’

তিনি বলেন, ‘নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার অবস্থান অন্যন্য জেলা উপজেলার থেকে তুলণামূলক অনেক ভালো।
তবে দেশে জুন মাস থেকে ভ্যাকসিন আনার কাজ শুরু করা হয়েছিল।
আজকে আমরা সারাদেশব্যাপী ভ্যাকসিন কার্যক্রম উদ্ধোধনের পাশাপাশি আমরাও উদ্বোধন করে টিকাদান করতে পেরেছি । উপজেলার সকল ইউনিয়নের সাথে আমরা ধাপে ধাপে করোনা ভ্যাকসিন প্রোগ্রামে যুক্ত হবো।’
তিনি বলেন, আজকে আমরা দেশের সকল সম্মানিত ব্যক্তিদের সাথে একসাথে ভ্যাকসিন গ্রহণ করব। এই ভ্যকসিন নিয়ে যাতে কোন ভুয়া তথ্য না ছড়ায় এই আশা করছি। যতটুকু আমরা জেনেছি এই ভ্যাকসিন সব চেয়ে বেশি নিরাপদ। যতগুলো ভ্যাকসিন আছে তারমধ্যে অ্যাষ্ট্রোজেনেকার ভ্যাকসিন বেশি নিরাপদ। এর পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। যতগুলো মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে তারা সবাই ভালো আছে সুস্থ আছেন।

আর এদিকে ডা, এজেডএম ছলিম বলেন, ভ্যাকসিন অ্যাপসের মাধ্যমে নিবন্ধিত হচ্ছে। যদি অ্যাপসের মাধ্যমে কেউ নিবন্ধন না করতে পারেন তাহলে আমাদের আরো নির্দেশনা আছে তারা ইউনিয়ন বা উপজেলায় গিয়ে তথ্য সেন্টারের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন এবং ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। এটাও যদি না পারে তাহলে তারা আসলেই ধাপে ধাপে ভ্যাকসিন নিতে পারবে। ফর্ম ফিলাপ করলেই তারা ভ্যাকসিন পাবে। ভ্যাকসিন না নিয়ে কেউই যাবে না। আমাদের সরকারের এটিই লক্ষ্য। আমাদের কাছে ৮৬০ জনের ভ্যাকসিন পৌঁছেছে । সে ভ্যাকসিনগুলো ৮৬০জনকে আমরা দুই ডোজ করে দিতে পারব। অর্থাৎ প্রথম ডোজের চার সাপ্তাহর পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সারা বছরব্যাপী আমাদের এই করোনা ভাইরাসের টিকা কর্মসূচী চলবে। এটা একদিনের বিষয় নয়, এক মাসের বিষয় নয়। সারা বছর ধরে এই ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলমান থাকবে।
উদ্বোধনের প্রথম দিনে শিক্ষক,চিকিৎসক,আইনশৃঙ্খলাবাহিনী পুলিশ-বিজিবি,নার্স ও জনপ্রতিনিধি ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।