সিবিএন ডেস্ক :
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমাদের কক্সবাজার শহরটাকে আরও সাজাতে হবে, সুন্দর করতে হবে। প্রতি সপ্তাহে এখানে অনেক পর্যটক আসে। এখানে রাস্তাঘাট কিভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা যায়, কিভাবে ময়লা-আবর্জনা ডিসপোজ করা যায় সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা আশা করি, আগামী ৬ মাসের মধ্যে কাজগুলো দৃশ্যমান হবে। এই শহরের রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হবে।

শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজার প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কার্যকরি কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কক্সবাজারে অনেকগুলো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। রেললাইন হচ্ছে, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দর হচ্ছে, এলএনজি টার্মিনাল হচ্ছে, কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হচ্ছে। মহেশখালী ইকোনমিক হাব হবে, সোনাদিয়া দ্বীপকেকে ইকো ট্যুরিজম সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলা হবে। মেরিন ড্রাইভ চট্টগ্রামের মিরশ্বরাই থেকে আসবে টেকনাফ পর্যন্ত।

‘মিয়ানমার সরকারের অসহযোগিতার কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হচ্ছে না’ মন্তব্য করে সচিব হেলালুদ্দিন আরও বলেন, ‘প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের মাথার উপর বোঝা হয়ে আছে। মানবিকতার খাতিরে প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা মিয়ানমারের নাগরিক। তাদেরকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন অত্যন্ত জরুরী। ‘

উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য হেলালুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই পর্যটন নগরীতে একটা সুন্দর প্রেসক্লাব হবে এটা সকলের কাম্য। নকশাটা এমনভাবে করবেন যাতে আয় আসে। আমরা জেলা পরিষদের মাধ্যমে আপনাদের সহযোগিতা করবো। আপনারা কাজ করে যান। আমরা আপনাদের পাশে থাকবো।’

অভিষেক অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অথিতি ও বিশেষ অতিথিদের ফুল দিয়ে বরন করে নেন প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ। প্রেসক্লাবের প্রয়াত সদস্যদের স্মরনে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে নবনির্বাচিত কার্যকরি কমিটির সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান অতিথি।

বাংলাদেশ টেলিভিশনের কক্সবাজার সংবাদ প্রতিনিধি ও কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে শারিরীক অসুস্থতার কারণে উপস্থিত হতে না পারলেও কক্সবাজার প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম
মুঠোফোনে সকলের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। সেই বক্তব্য শব্দযন্ত্রে প্রচার করা হয়।

মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পারায় আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হলেও শারিরীক অসুস্থতার কারণ আমি উপস্থিত হতে পারিনি। প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সদস্যদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

কক্সবাজার প্রেসক্লাব ও কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহেরের সভাপতি আবু তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা পর্বে
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমাদের ভাল কাজের চালিকাশক্তি সাংবাদিকরা। তারা আমাদের পথ দেখান, ভালো কাজে উৎসাহী করেন। অসঙ্গতিগুলো দেখিয়ে দেন।’

সভাপতির বক্তব্যে মো. আবু তাহের বলেন, এই প্রেসক্লাব শুধু কক্সবাজারের সাংবাদিকদের দ্বিতীয় বাড়ি নয়। এটা কক্সবাজারের জনগনের সম্পদ। এই ভবনটিকে আরও আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আতাহার ইকবাল,
সাবেক সভাপতি মাহবুবর রহমান প্রমুখ।

এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ, জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শ্রাবস্তী রায়সহ প্রেসক্লাবের সদস্য ও কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।