মোঃ নেজাম উদ্দিন:
মৃত ফরেষ্টার ইউসুফ উদ্দিনকে সরকারি প্রশিক্ষণে ডাকা হয়েছে বন বিভাগের প্রধান কার্যালয়ের অফিস থেকে ।
গত ৫ জানুয়ারী প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী স্বাক্ষরিত ২২.০১.০০০০.০০৪.০১২.২০.১২ স্মারক মূলে ২০২০- ২০২১ আর্থিক সালে টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় বন অধিদপ্তরের নবনিযুক্ত ফরেস্টার, রেঞ্জার ও জন্য ফরেস্ট্রি কোর্স ফর ফরেস্ট এন্ড ফরেস্টার্স বিষয়ক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহনের জন্য প্রশিণার্থী মনোয়ণ করে বন বিভাগ অধিদপ্তর থেকে চিঠি ইস্যু করা হয়।
তাতে দেখা যায়- তালিকায় ২২নাম্বারে গত ৩০জুলাই চট্রগ্রাম উপকুলীয় বন বিভাগের মহেশখালী রেঞ্জ এর কেরুনতলী বিটের করুইবুনিয়া এলাকায় অবৈধ পানের বরজ উচ্ছেদ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে মৃত্যু বরণ কারি সহকারী রেজ্ঞ কর্মকর্তা ইউসুফ উদ্দিনের নাম ।
চিঠিটি ইস্যু করা হয় পরিচালক ফরেস্টার ,পূর্ব নাসিরাবাদ চট্রগ্রাম এর বরাবর।
এতে বলা হয়েছে ২০২০- ২০২১ আর্থিক সালে টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকলেল্পর আওতায়বন অধিদপ্তরের নবনিযুক্ত ফরেস্টার রেঞ্জার ও জন্য ফরেস্ট্রি কোর্স ফর ফরেস্ট এন্ড ফরেস্টার্স বিষয়ক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহনের জন্য প্রশিণার্থী জন্য ৫জন রেঞ্জার ,২২জন ফরেস্টারসহ মোট ২৭জন প্রশিক্ষনার্থী গত ১৭ জানুয়ারী থেকে ১৫ দিনের জন্য প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করবে।
এদিকে এই চিঠিতে নিহত ইউসুফ উদ্দ্দিনের নাম দেখে অনেকই হতবাক হয়ে পড়েছিল । নাম প্রকাশ না করার শর্তে বন বিভাগের এক কর্মকমর্তা জানান, সহকারি রেঞ্জ কর্মকর্তা ইউসুফকে হত্যা করা হয়েছে এটি বন বিভাগ জানানর কথা। অধিনস্থ একজন কর্মকর্তা হত্যা হয়েছে এখনো বন বিভাগ জানেনা এমনটি মনে হচ্ছে চিঠির আলোকে।
থানা সূত্রে জানা গেছে গত ১আগষ্ট সাবেক কেরুনতলী বিট কর্মকর্তা আহসানুল কবির বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে যার মামলা নং ১৭৪ /২০২০। তার পরেও এই চিঠি কিভাবে ইস্যু হয় নিহত ইউসুফ উদ্দিনের নামে তা নিয়ে নিহত ইউসুফের এলাকায় বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
নিহত ইউসুফের পিতা নিজাম উদ্দিন জানান, আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে সে সরকারি দায়িত্বরত থাকা কালিন তাকে হত্যা করা হয়েছে এটা প্রধান বন সংরক্ষক জানেনা? আমার ছেলে মৃত্যুর পর বনবিভাগ থেকে কোন ধরনের যোগাযোগ করেনি। বরং আমাকে আইনি লড়াই করার জন্য আদালতে যেতে হচ্ছে।
চট্রগ্রাম উপকুলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম গোলাম মওলা’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে মোবাইল কেটে দেন।