হারুনর রশিদ, মহেশখালী:
মহেশখালীতে মাঘ মাসের মাঝেই আম গাছে মুকুলের দেখা দিয়েছে। বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে মিষ্টি গন্ধ। মুকুলের মৌ মৌ মিষ্টি গন্ধ জানান দিচ্ছে মধুমাস সমাগত। আগাম মুকুল আশায় আম চাষীদের মনে আশার আলো দেখা দিয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে জানান কৃষি বিভাগ। দেশের অন্যান্য জায়গার আমের চেয়ে মহেশখালীর আম এখন কোনো অংশে কম নয়।

মহেশখালী উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানাগেছে ,এই উপজেলার পাহাড় ও সমতলে ব্যক্তি মালিকানাধিন প্রায় ১০হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের বাগান আছে। এখানকার চাষকৃত উল্লেখযোগ্য জাতের আম হলো, ফজলি, নেংড়া, গোপালভোগ, আম্রপালি অন্যতম।

মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর,কালামারছড়া,হোয়ানক ও ছোট মহেশখালী ইউপির পাহাড়ে এবং বিভিন্ন গ্রামের বসতবাড়ীর আঙ্গিনা ও বাগানের গাছে আগাম মুকুল এসেছে। গাছে আগাম মুকুল আসায় বাগান মালিকরা ব্যস্ত হয়েছেন পরিচর্যার কাজ নিয়ে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে আমের বা¤পার ফলন হবে বলে আশা করছেন চাষী ও বাগান মালিকরা।

আরো কিছু দিন পরে সব গাছে মুকুল আসবে বলে জানান তারা। শাপলাপুর ইউপির বারিয়াপাড়া গ্রামের আমচাষী আব্দুল আজিজ বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার গাছগুলোতে মুকুলের সমারোহ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকেই প্রতিটি গাছেই পুরোপুরিভাবে মুকুল ফুটতে শুরু করবে।

মহেশখালী উপজেলায় সদ্য যোগদানকৃত কৃষি অফিসার মুমিনুল ইসলাম জানান,নির্ধারিত সময়ের আগেই আবহাওয়া ও জাতের কারণেই মূলত আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। ঘন কুয়াশা বা শৈত্যপ্রবাহ বেশী হলে আগাম মুকুলের ক্ষতিহবে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে চলতি মাসের শেষ সময় পর্যন্ত সব গাছে মুকুল দেখা যাবে। মহেশখালীতে আম ,মালটাসহ বিভিন্ন মিশ্র ফলের চাষ হয়। পাহাড়ের পতিত জমি লিজ নিয়ে বাগান করলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।পাহাড়ের জমি সুনিস্কাশিত হওয়ায়; এ জমিতে ফলন ও বেশি হয়।