আবুল কালাম , চট্টগ্রাম :

নগরীর দখল হয়ে যাওয়া খালগুলো দখলদারের কাছ থেকে উদ্ধার করতে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামীলীগ যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র বীর মুুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দখলদার যত প্রভাবশালী হোক না কেন, তাকে কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে মন্তব্য করে সকল গণমাধ্যম কর্মীদের এ কাজে সহযোগীতা ও আমার পাশে চাই।

মেয়র রেজাউল করিম বলেন, নগরীর প্রধান সমস্যা বলতে যে বিষয়গুলো আগে চলে আসে সেগুলো হলো- জলাবদ্ধতা, যানজট, সন্ত্রাস, মাদক, দখল, দূষণ, ক্রীড়া ও বিনোদনের সুযোগের স্বল্পতা, মশার উপদ্রব, স্বয়ংসম্পূর্ণ ও পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের স্বল্পতা ইত্যাদি।

তিনি বলেন, এ সব সমস্যার ৬০ ভাগেরও বেশি সমাধান নাগরিক সচেতনতার মাধ্যমে হতে পারে। আর একটি সচেতন নাগরিক সমাজ গঠনে সাংবাদিকদের লেখনী সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

নব নির্বাচিত মেয়র আরও বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রামে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। উপযুক্ততা বিবেচনায় প্রকল্পগুলো সিডিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে বাস্তবায়নের দায়িত্ব বন্টন করেছেন উন্নয়নের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। এ সমস্ত প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে যে সব বাধা রয়েছে সেগুলো দ্রুত অপসারণে সিটি করপোরেশন তার আওতায় থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করবে।

যানজট নিরসনে ফ্লাইওভার নির্মাণের সুফল এখন মানুষ পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চলমান এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হলে যানজট আরও কমে আসবে। এছাড়া দূরের যাত্রীদের জন্য মেট্রো রেল সার্ভিস চালু করা যায় কি-না বিশেষজ্ঞ মতামত নিয়ে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে অনেকসময় যানজট বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, চলমান উন্নয়ন কাজকে আরও দ্রুত সময়ে সম্পন্ন করা হবে। আর একই কাজ বার বার ও সারা বছর ধরে যাতে করতে না হয় সে ব্যাপারে সব সেবা সংস্থাকে এক ছাতার নিচে আনতে কাজ করবে করপোরেশন।

এসময় তিনি মোঘল আমল থেকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন এবং মহান মুক্তি সংগ্রাম ও স্বাধীনতা যুদ্ধে চট্টগ্রামের বীরত্বপূর্ণ ইতিহাসের দিক তুলে ধরে এসব স্মৃতিচিহ্ন উদ্ধার ও রক্ষণাবেক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে সাংবাদিক ও গবেষকদের সহযোগিতার হাত প্রসারিত করার আহ্বান জানান রেজাউল।

মতবিনিময় সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, চন্দন ধর উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার, সিনিয়র সহসভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম ও ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ