ইত্তেফাক : গবেষণা জালিয়াতির শাস্তি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষককে পদাবনতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত থাকা একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য ইত্তেফাককে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পদাবনতি হওয়া শিক্ষকরা হলেন- গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান, অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মাহফুজুল হক মারজান এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওমর ফারুক।

সিন্ডিকেট সদস্য ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক পদ থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদাবনতি ও দুই বছর কোনো ধরনের পদোন্নতি দেওয়া হবে না। ওমর ফারুককে সহকারী অধ্যাপক থেকে প্রভাষক পদে পদাবনতি করা হয়েছে।

এর আগে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ায় ২০১৮ সালে এ শিক্ষকের পিএইচডি ডিগ্রি বাতিল করা হয়। অন্যদিকে মাহফুজুল হক মারজান শিক্ষা ছুটিতে থাকায় ছুটি শেষে বিভাগে যোগদান করার দুই বছর কোনো ধরনের পদোন্নতি পাবেন না।

এছাড়াও শিক্ষা ছুটি শেষে চাকরিতে যোগদান না করায় এক শিক্ষককে ডিসমিসাল ও তিন শিক্ষককে টার্মিনেট করা হয়েছে। রসায়ন বিভাগের প্রভাষক শংকর মন্ডলকে ডিসমিসাল ও পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রভাষক ফারহানা সাদিয়া, ফার্মসিউটিক্যাল ক্যামিস্ট্রি বিভাগের ফারহানা ইসলামকে টার্মিনেট করা হয়েছে।

ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রভাষক মল্লিক সেজান মাহমুদকে আট সপ্তাহের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যোগদান না করলে তাকে টার্মিনেট করা হবে। প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক তাহমিনা হোসেন আহমেদ, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক অথই নীলিমা স্বেচ্ছায় অবসর চেয়েছেন। তবে শিক্ষা ছুটিতে যাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত সকল ধরনের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।