মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

গত ২৭ জানুয়ারী কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে সংগঠিত অগ্নিকান্ডের ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও সুপারিশের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে সংগঠিত অগ্নিকান্ডস্থল বৃহস্পতিবার ২৮ জানুয়ারী পরিদর্শন শেষে এক ভিডিও বার্তায় হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এবং কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এ তথ্য জানান।

এমপি আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল আরো বলেন, হাসপাতালের রোগী, তাদের স্বজন, সাধারণ মানুষের আতংকিত ও উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণ নেই। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, সাংবাদিক, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী সহ সবার সহযোগিতায় হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তাকারী সকলকে ধনবাদ জানান। তিনি বলেন, অগ্নিকান্ডে উল্লেখযোগ্য কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। একটা ঘটনার সময় ছোটখাটো যেমনি আহত হয়, আল্লাহর অসীম রহমতে তার বেশী হয়নি। কোন হতাহতও হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা ও অন্যান্য নিয়মিত কার্যক্রম এখন স্বাভাবিকভাবেই চলছে।

আগুনে দেওয়ালে সিমেন্টের আস্তরের সামান্য যে ক্ষতি হয়েছে, তা সহসাই সংস্কার করা হবে বলে জানান এমপি আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল। তিনি বলেন, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে কোটি কোটি টাকা মূল্যের যন্ত্রপাতি, মেডিকেল সরঞ্জাম, ওষুধাগার সহ অনেক মূল্যবান চিকিৎসা সামগ্রী থাকলেও আগুনে তার কোন ক্ষতি হয়নি। আল্লাহর রহমতে হাসপাতালের মূল্যবান সবকিছু সুরক্ষিত আছে।

ভিডিও ফুটেজে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের সুপার ডা. রফিক উস সালেহীন বলেন, যে কক্ষটিতে আগুন লেগেছিল, সেখানে কিছু অব্যবহারযোগ্য আসবাবপত্র, পরিত্যক্ত লেপ, তোষক, বালিশ ছিলো। তিনি বলেন, আগুনের সুত্রপাত ও আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত কমিটির রিপোর্টের পর জানা যাবে। আগুন লাগার পর সাড়ে ৩ ঘন্টা থেকে ৪ ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা স্বাভাবিক হয়ে যায়।

পরিদর্শনকালে এমপি আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এর সাথে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নওশাদ রিয়াদ , হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য রুস্তম আলী চৌধুরী, চিকিৎসক, সাংবাদিক সহ সংশ্লিষ্ট সকলে উপস্থিত ছিলেন।