মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু :
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদরে গ্রামীণ সড়কের দুইটি কালভার্ট অকেজো দেখার কেউ নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সদর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে দুইটি কালভার্টের মাঝখানে বন্দী হয়ে আছে দুইটি গ্রামের হাজারো মানুষ। বর্তমান ও সাবেক দুই চেয়ারম্যানের বাড়ির মধ্যখান দিয়ে বয়ে যাওয়া বাগানঘোনা হইতে দক্ষিণ বিছামারা পর্যন্ত রাস্তাটিতে ১ কিঃমিঃ এর ব্যবধানে দুটি কালভার্ট ভেঙ্গে অকেজো হয়ে গেছে। অভিভাবকহীন ভাবে পড়ে আছে দীর্ঘ দিন ধরে দেখার কেউ। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় বর্তমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটিতে সামান্য মাটির কাজ করলেও বর্তমানে ছোট্ট দুটি কালভার্ট অকেজো হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ঐ এলাকায় বসবাসরত অধিকাংশ মানুষ-ই কর্মজীবী ও কৃষক। উর্বর পাহাড়ে কৃষিপণ্য কলা,লেবু,পেঁপে ও সবজিসহ বিভিন্ন তরিতরকারি, ফলমূল গাড়ি যোগে বাজারে নিতে ৩০-৫০ টাকা গাড়ি ভাড়া লাগতো। আজ দুইটি কালভার্ট অকেজো হওয়ায় সেই মাল বাজারে নিতে খরচ হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা। স্থানীয় আবু নাসের, আব্দুল খালেক, শেখ আহমেদ সহ অনেকেই জানান উপজেলা সদরে এমন বিচ্ছিন্ন গ্রাম মনে হয় আর নেই। কারণ সামান্য দুটি কালভার্ট এর জন্য গাড়ি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় অনেক সময় মুমূর্ষু ও ডেলিভারি রোগী মাত্র ২কিঃ মিঃ ব্যবধানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌছাতে না পারায় পথের মধ্যে ডেলিভারি বা মৃত্যূবরণের আশংকা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার ফয়েজ আহমেদ জানান উপজেলা সদরে অবস্থিত দুটি গ্রামের এই রাস্তাটি অবহেলিত। এই রাস্তাটির সংস্কারের মাধ্যমে গাড়ির যোগাযোগ উপযোগী হলে বাড়বে শিক্ষার হার। কারণ বর্ষাকালে পাহাড়ি ডলের পানিতে রাস্তাবিলীন ও পশ্চিমে খাল পার হতে না পারায় শত শত স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অপর দিকে এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত ফসলাদির ন্যায্য মুল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষকরা। তাই দুটি কালভার্ট নির্মাণের মাধ্যমে গাড়ি চলাচলের উপযোগী হলে এই এলাকার উৎপাদিত ফসলাদির রাজস্ব পাবে সরকার। এই বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন জানান, রাস্তাটি সংস্কার ও কালভার্ট নির্মাণে তার আন্তরিকতা রয়েছে। বক্স কালভার্টটি উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার মাধ্যমে করা হবে। অপর কালভার্টটি ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে শীঘ্রই নির্মাণ করা হবে বলে জানান।