শ্যামল রুদ্র :
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট(বারি) কর্তৃক উদ্ভাবিত বারো মাসি কাঁঠাল বারি-১,বারি-২ ও বারি-৩ এর পরিচিতি ও মাঠ পর্যায়ে স্থাপিত এ বাগানের মূল্যায়নে খাগড়াছড়ির রামগড়ে কৃষকদের সাথে নিয়ে এক মাঠ দিবস পালিত হয়। উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার মধ্যে খাগড়াছড়ির রামগড়েই প্রথম এ ধরনের বাগান গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হল।

বুধবার ২৭,জানুয়ারী খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার নাকাপা এলাকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফল বিভাগের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামগড় পাহাড়ঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.এস এম ফয়সল

গাজীপুরের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফল বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে মাঠ দিবসে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামগড় পাহাড়ঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো.এমদাদুল হক,রামগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্যামল রুদ্র,সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসাইন ও কোষাধ্যক্ষ শুভাশিস দাশ।

রামগড় পাহাড়ঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.এস এম ফয়সল জানান,কাঁঠালের অর্থনৈতিক ও পুষ্টিগুণের কথা বিবেচনা করে দেশীয় কৃষিবিজ্ঞানীরা সারা বছর কাঁঠাল উৎপাদনের লক্ষ্যে তিনটি কাঁঠালের জাত উদ্ভাবন করে অবমুক্ত করেন। এর মধ্যে বারি-১ জাতের উচ্চফলনশীল কাঁঠাল পাওয়া যাবে বছরের মে-জুন, উচ্চফলনশীল অমৌসুমি জাত বারি-২ কাঁঠাল পাওয়া যাবে জানুয়ারি-এপ্রিল এবং নিয়মিত ফল দানকারী উচ্চফলনশীল বারোমাসি বারি-৩ পাওয়া যাবে সেপ্টেম্বর-জুন মাস পর্যন্ত।পার্বত্যচট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ের নাকাপা এলাকায় এই বারি কাঁঠাল চাষের জন্য কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে কৃষকদের মাঝে ২১টি বাগান দেয়া হয়েছে।এগুলোর ফল এখনো আসেনি।ফল আসা পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য কৃষকদের কাছে থেকে দাবি আসছে।

দীর্ঘদিন ধরে কাঁঠাল নিয়ে গবেষণা করা এবং এই প্রকল্পের প্রধান গবেষক গাজীপুরের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফল বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান জানান, উদ্ভাবিত তিনটি জাতের মাধ্যমে সারা বছর ধরেই কাঁঠাল পাওয়া যাবে। মৌসুমের বাইরেও অন্যান্য সময় ধরে উৎপাদিত কাঁঠালও হবে খুব সুস্বাদু। এতে যেমন দেশের লোকজন সারা বছর ধরে কাঁঠালের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন, তেমনি অধিক মূল্যে কাঁঠাল বিক্রি করতে পারবেন। দেশের মানুষের পুষ্টি ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব বাড়াবে কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত কাঁঠালের এ জাতগুলো।

দিবসটিকে সফল করতে এলাকার কৃষক ও কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্ত মাঠ দিবসে অংশ গ্রহণ করেন।