জে.জাহেদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো:

বহু আলোচিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার দুই ঘন্টার যেতে না যেতেই পড়েছে দুই লাশ।

খুন হয়েছেন দুই প্রার্থীর দুই সমর্থক। নগরীর ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আমাবাগন ইউসেপ স্কুল ও সরাইপাড়া ওয়ার্ডের বারকোয়ার্টার মাইট্টাইল্লা পাড়া এলাকায় পৃথক এ দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

তার মধ্যে সরাইপাড়ায় খুন হয়েছেন আপন ভাইয়ের হাতে। ১৩ নম্বরে নিহত ব্যক্তি কাউন্সিলর প্রার্থী মাহমুদুরের অনুসারী।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নগরের পাহাড়তলীতে আপন ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে আরেক ভাই নিহত হয়েছেন।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডের বারোকোয়াটার মাইট্টাইল্লা পাড়া এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাহাড়তলী থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল হক। নিহত ব্যক্তি ১২ নম্বর ওয়ার্ডের (সরাইপাড়া) আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সাবের আহম্মদের কর্মী বলে জানা গেছে। তার নাম নিজামউদ্দীন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘাতক ব্যক্তির নাম সালাউদ্দিন কামরুল। তিনি ১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিনের কর্মী।

অপরদিকে ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ঝাউতলা এলাকায় নিহত ভোটারের নাম আলাউদ্দিন (২৫)। তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী মাহমুদুর রহমানের কর্মী।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঝাউতলার ইউসেফ আমবাগান স্কুল কেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে লাগা সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের ছোঁড়া গুলিতে নিহত হন তিনি। এই হত্যার জন্য সেই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী ওয়াসিম চৌধুরীর অনুসারীদের দায়ী করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্র বলছে, বাদশা সোলাইমান নামে ওয়াসিমের এক কর্মীর ছোঁড়া গুলিতে প্রাণ হারান আলাউদ্দিন। এই হত্যার পর ঝাউতলা এলাকায় রেল লাইন অবরোধ করে রেখেছেন মাহমুদুরের সমর্থকরা।

এর আগে সকালে ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দখলে চলে যায় ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডের তিন ভোট কেন্দ্র।

এ ওয়ার্ডের আমবাগান ইউসেপ স্কুল, ঝাউতলা ওয়ার্লেস স্কুল ও পাহাড়তলী কলেজ কেন্দ্র তিনটিতে সন্ত্রাসীদের অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া দিতে দেখা যায়।

এ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মাহমুদুর রহমান  জানান, ‘সকালে ভোট শুরুর আগে থেকেই ওয়াসিম উদ্দিনের লোকজন বিভিন্ন কেন্দ্র নিজেদের দখলে নিয়েছে। মধ্যরাত থেকে সন্ত্রাসীরা এখানে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে।’

এ অভিযোগ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওয়াসিম ও মাহমুদুর রহমান গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ফলে এ ঘটনা ঘটে।