অনলাইন ডেস্ক : নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফারাহ আহমদ। মার্কিন কৃষি বিভাগের আওতাধীন পল্লী উন্নয়ন আন্ডার সেক্রেটারির কার্যালয়ে চিফ অব স্টাফ হিসেবে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় গত ২১ জানুয়ারি মার্কিন কৃষি বিভাগের প্রদত্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ফারাহ আহমদ এর আগে গ্রাহক শিক্ষা অফিসে সিনিয়র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর এবং গ্রাহক আর্থিক সুরক্ষা ব্যুরোতে (সিএফপিবি) চিফ অপারেটিং অফিসারের সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

ফারাহ আহমদ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খানের ভাগ্নি বলে জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী ফারাহ মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) পল্লী ব্যবসায় সমবায় পরিষেবায় কমিউনিটি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন দলের প্রোগ্রাম ম্যানেজার এবং আমেরিকান অগ্রগতির সেন্টারে সিনিয়র পলিসি অ্যানালিস্টের দায়িত্ব পালন করেছেন।

ফারাহ আহমদের বাবা ড. মাতলুব আহমেদ ও মা ড. ফেরদৌস আহমেদ। তারা দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ফারাহ আহমেদের নানা ড. আব্দুল বাতেন খান বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।

প্রবাসী বাংলাদেশি ফারাহ আহমদ ছাড়াও একই সময়ে মার্কিন কৃষি বিভাগে অন্যান্য পদে আরও ৫ জন নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- জেনারেল কাউন্সিল অফিসে ডেপুটি জেনারেল কাউন্সিল পদে ডেভিড গ্রাহন, পল্লী উন্নয়ন আন্ডার সেক্রেটারির কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা পদে অনুগবেনগা আজিলোর, আন্ডার সেক্রেটারির কার্যালয়ের খামার উত্পাদন ও সংরক্ষণের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা পদে মাইক স্মিডথ, ফার্ম সার্ভিস এজেন্সিতে ফিল্ড অপারেশনের উপ-প্রশাসক পদে মারকাস গ্রাগাম এবং যোগাযোগ দফতরের যোগাযোগ পরিচালক পদে ম্যাট হেরিক নিয়োগ পেয়েছেন।

এর আগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান জাইন সিদ্দিক হোয়াইট হাউজের ডেপুটি চিফ অব স্টাফের সিনিয়র এডভাইজার হয়েছেন। জাইনের মা-বাবা ময়মনসিংহের নান্দাইলের সন্তান। বাইডেনের ট্র্যাঞ্জিশন টিমে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম টিমেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন আরেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান রুমানা আহমেদ। রুমানা বারাক ওবামার সময়েও হোয়াইট হাউজে কাজ করেছেন। ফারাহ আহমেদও বারাক ওবামার আমলে ভিন্ন একটি দায়িত্বে ছিলেন।

– কালেরকন্ঠ