আনোয়ার হোছাইন, ঈদগাঁওঃ
কক্সবাজারের ৯ম থানা ঈদগাঁওতে প্রথম মামলা রেকর্ড হয়েছে জোড়া খুনের। ২২ জানুয়ারী রাত ১:৫০ টায় মামলাটি রেকর্ড করেন নতুন অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত আবদুল হালিম।
যার মামলা নং-০১।
মামলার বাদী আজিজুল হক, পিতা- মৃত তোরাব আলী, সাং- চরপাড়া, ইসলামাবাদ। মামলার প্রধান আসামী আবুল কালাম (৩৬), পিতা- মৃত জাফর আলম, সাং-চরপাড়া, ইসলামাবাদ, ঈদগাঁও। অপরাপর আসামীরা হলেন- আবু তাহের (৩৮), পিতা ও সাং একই, হামিদা বেগম (৩২), স্বামী- আবুল কালাম, সাং- একই এবং মনোয়ার বেগম (৩৫), স্বামী- আবু তাহের, সাং- একই।
গত ১৯ জানুয়ারী সন্ধ্যায় জায়গা বিরোধের জেরে উক্ত প্রধান আসামীর নেতৃত্বে হত্যার ঘটনাটি সংঘটিত হয়। ওই ঘটনায় বাদীর স্ত্রী রাশেদা বেগম (৪০) এবং বাদীর মেয়ে স্কুল শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদাউস (১৩) ধারালো অস্ত্রের উপর্যুপরি আঘাতে নির্মম খুনের শিকার হন। ঘটনার পরদিন ২০ জানুয়ারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জেলার ৯ম থানা হিসেবে ঈদগাঁও থানার উদ্বোধন করেন। আলোচিত এ খুনের ঘটনার মধ্য দিয়ে উদ্বোধনকৃত নতুন থানার প্রথম মামলাটি রেকর্ড হয়। ২১ জানুয়ারী সকালে ইসলামপুরজুম নগরে ইলিয়াছের ছেলে মোটর সাইকেল আরোহী সাইফুল ইসলাম প্রাইভেট নোহা গাড়ির চাপায় ঘটনাস্থলে নিহত হন। এবং অপর ভাই জাহেদুল ইসলামও গুরুতর আহত হয়ে বর্তমান চমেক হাসপাতালে চিকিৎধীন। নিহত সাইফুলের লাশ ময়না তদন্ত সম্পন্ন করে ২২ জানুয়ারী দাফন সম্পন্ন হয়। উক্ত ঘটনায় নিহতের পিতা ইলিয়াছ ঈদগাঁও থানার ২য় মামলা হিসেবে এজাহার জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য আবদুস শুক্কুর।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল হালিম জোড়া খুনের ঘটনাটি উক্ত থানার প্রথম মামলা এবং দ্বিতীয় মামলা হিসেবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সাইফুলের মামলাটি প্রক্রিয়াধীন বলে নিশ্চিত করেছেন।