মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া :

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নে নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধের মাটি চাপা পড়ে ঢেকে যাচ্ছে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পুরাতন একতলা বিশিষ্ট ভবন! গত দুই বছর ধরে মাটি চাপা পড়লেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভবনটি নিলামে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য কোন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলার কারণে সরকারী সম্পদ বেহাত হয়ে যাচ্ছে এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের এহেন অবহেলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন সমাজ।

সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা যায়, পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের সর্ব দক্ষিণে কাক পাড়া গ্রামে বেড়িবাঁধ বিলীন হলে কাকপাড়া শেখ আবদুল আজিজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অন্যত্র স্থানান্তর করে পেকুয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। কিন্তু সেখানে রয়ে যায় পুরাতন একতলা বিশিষ্ট একটি সরকারী ভবন। বিদ্যালয়ের দরজা জানালাগুলো খুলে নিয়ে প্রধান শিক্ষক শামসুল আলম বিক্রি করে দিয়েছেন গত এক বছর পূর্বে! বর্তমানে বিদ্যালয়ের এক তলা ভবনটি মাটি চাপা পড়ে রয়েছে।

জানা যায়, যেকোন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন পুরাতন, ব্যবহার অনুপযোগী বা পরিত্যক্ত হলে তা নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়ার সরকারী বিধান রয়েছে। পুরাতন ভবন বিক্রির টাকা সরকারী কোষাগারে জমার করার নিয়মও রয়েছে। এদিকে গত দুই বছর ধরে পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কাক পাড়ায় নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধের মাটি চাপা পড়ে থাকলেও শেখ আবদুল আজিজ চৌধুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ কক্ষ বিশিষ্ট পুরাতন ভবনটি নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য কোন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি পেকুয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সালামত উল্লাহ খান।

স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল করিম জানান, সরকারী সম্পদ এভাবে নষ্ট গেলেও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সালামত উল্লাহ খান ভবনটি দরপত্র বা নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে দিয়ে তার টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। যা সরকারী দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলার শামিল।

এ বিষয়ে কথা হলে পেকুয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সালামত উল্লাহ জানান, তিনি বিষয়টি খবর নিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।