ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
পর্যটন শহরের তারকা মানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হোটেল সায়মন বীচ রিসোর্টে বঙ্গবন্ধু কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে।
মুজিব শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বুধবার (১৩ জানুয়ারী) দুপুরে কলাতলী বীচস্থ সায়মন বীচ রিসোর্টে কর্ণারটির উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহবুবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু কর্ণারে ১৯৬৯ সালের হোটেল সায়মানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানে আয়োজিত ক্যান্ডেল লাইট ডিনার ও তাৎকালীন সময়ে সৈকত এলাকা পরির্দশনের ছবিসহ বীচ একাধিক ছবি প্রদর্শনের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধনকালে সায়মনের এমডি মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘৬০দশকে কক্সবাজারে পর্যটন সেবায় পথচলা শুরু করে হোটের সায়মান।
চট্রগ্রামের ব্যবসায়ী প্রকৌশলী মোশারফ হোসেনের এ উদ্যোগককে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ আপোষহীন নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সে সময়ে তিনি যখনই কক্সবাজারে এসেছেন তখনই ঝাউতলাস্থ হোটের সায়মনে অবস্থান করেছেন।
সেই সূত্রে বঙ্গবন্ধু এবং হোটেল সায়মন একে অপরের পরিপূরক।
বঙ্গবন্ধু পর তার দুই মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহেনাও আমাদের অতিথি হয়ে আসছেন। তাই বঙ্গবন্ধু পরিবারের সাথে সায়মন হোটেল অবিচ্ছেদ্যে অংশে পরিণত হয়েছে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, হোটেল সায়মনে বঙ্গবন্ধুর জন্য আয়োজিত ক্যান্ডেল লাইট ডিনারই প্রকৌশলী মোশারাফ হোসেনের রাজনীতির পথচলা শুরু। বঙ্গবন্ধুর আর্দশে উজ্জিবীত হয়ে ৫০ বছরের পথচলায় এমপি মন্ত্রীসহন নানা পদে অদিষ্ট হয়ে দেশের সেবা করেছেন সায়মনের স্বত্বাধিকারী মোশারাফ হোসেন। পূর্বের ধারবাহিকতায় আমারা বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারকে বিশ্ব পর্যটনের সাথে সংযুক্ত করতে সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে ৬ বছর আগে পাঁচ তারকা মানের সায়মন বীচ রিসোর্টের যাত্রা করি।
এমডি মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালান করে সোনার বাংলার প্রতিষ্ঠায় উন্নত পর্যটন শিল্প বিকাশে কাজ করে যাবে।
তিনি আরো বলেন, কক্সবাজার পৌরসভার বাহারছড়া ঝাউতলাস্থ পুরানো সায়মন এলাকায় নবনির্মিত সায়মন হেরেটেজ ভবনে একটি স্থায়ী অত্যাধুনিক বঙ্গবন্ধু কর্ণার নির্মাধীন রয়েছে। সেখানে বঙ্গবন্ধু সায়মনে অবস্থানকালীন সময়সহ রাজনৈতিক অঙ্গনের কিছু দূর্লব আলোকচিত্র স্থাপন করা হবে। যা পর্যটক ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন শেষে মুজিব শতবর্ষ ও সাময়ন বীচ রিসোর্টের ৬ষ্ট তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও প্রকৌশলী মোশারাফ হোসনের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটার পরে এতিমদের মাঝে খাদ্যা বিতরণ করা হয়েছে।
একই সাথে কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের জন্য বঙ্গবন্ধু কর্ণারটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।