কক্সবাজার ফুটবল এসোসিয়েশনের ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার আত্মসাৎ, কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা বিষয়ে বিভিন্ন অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদ এবং প্রকৃত বাস্তবতা বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন কক্সবাজার ফুটবল এসোসিয়েশনের সদস্য সাবেক কৃতি ফুটবলার ছিদ্দিক আহামদ। 

তিনি বলেন, ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাত করার মত মানুষ ফজলুল করিম সাঈদী বা আমি কিনা সেটা কক্সবাজারবাসীসহ সমগ্রক্রীড়াঙ্গনের সবাই জানে।
গত ৪ বছর ডিএফএর সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে সাঈদী অলিখিত অনেক টাকার বাইরেও শুধুমাত্র গেল ২ টি বিভাগীয় কমিশনার কাপ ফুটবলে কক্সবাজার জেলা দলের জন্য ১১ লাখ টাকা খরচ করেছেন তিনি যা ডিএফএ থেকে এখনো পাওনা আছে।
এছাড়া গত ৪ বছরে অন্তত ৩০ লাখ টাকা ফুটবল এবং খেলোয়াড়দের উন্নয়নে খরচ করেছেন।
আর সাউথইস্ট ব্যাংকের যে টাকার কথা বলা হচ্ছে তার সম্পূর্ণ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কক্সবাজারে ফুটবল এসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটি বসে সকলের মতামতের ভিত্তিতে রেজুরেশন করে সদস্য হিসাবে আমি ছিদ্দিক আহামদকে অর্থনৈতিক দায়িত্ব দেওয়ায় চেক মারফত উত্তোলন করা হয়েছে।
মূলতঃ ডিএফএর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এবং কোষাধক্ষ্যের চরম অসহযোগিতার কারণে জেলার ফুটবলের অগ্রগতি একেবারে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে বিকল্প এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যেই রেজুলেশনে সাধারণ সম্পাদক এবং কোষাধক্ষ্যেরও স্বাক্ষর আছে।
এ বিষয়ে ডিএফএ সভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী দাবী করেন, সামনে জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের নির্বাচন। তাই একটি পক্ষ ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করে আমাকে ঘায়েল করতে আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করেছে।
বিজ্ঞ আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় আমি খুশি।
কারণ, সেখানে আমাদের সব কাগজপত্র দেখানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তখন আসল সত্য বেরিয়ে আসবে।
এ ব্যপারে সাউথইস্ট ব্যাংক কক্সবাজার শাখার ম্যানেজার জহির উদ্দিন মোঃ বাবর জানান, ডিএফএর পক্ষ থেকে দেওয়া উকিল নোটিশের জবাবে আমার যেটুকু মনে পড়ে ডিএফএর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যদি তাদের মধ্যে অর্থনৈতিক কোন জটিলতা তৈরি হয় তাহলে তা নিজেরা তদন্ত করে অথবা বাফুফে দ্বারা মিমাংসা করতে হবে। সে জন্য তারা আদালতে মামলা করতে পারবে না।
এছাড়া কোন সমস্যা তৈরি হলে কমিটি বসে রেজুলেশন করে যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
তবুও আমাদের আইনজীবীর মতামত নিয়ে চূড়ান্ত কথা বলতে হবে।