– নাজনীন সরওয়ার কাবেরী

ভালবাসার মানুষটির দী্র্ঘ কারাবরণ জুলুম নির্যাতন থেকে আজ ফিরে আসা।
অধিকার আন্দোলন, গরীব অসহায়, নির্যাতিত মানুষের জন্য অসম সাহসে মানুষ থেকে মানুষের হৃদয়ে ইতিহাসের বাঁকে, স্রোতস্বিনী নদীর ধারায়, অরণ্যের প্রাচুর্যতায় তাঁর নাম লিখা হয়েছে।
তাঁকে ভুলা,তাঁর কাজকে অবমূল্যায়ন করবার কোন সুযোগ ইতিহাস রাখেনি।
তিনি আমাদের বাংলার বন্ধু।
তিনি একটি জাতির জন্মদাতা।
তিনি শোষণ মুক্ত সমাজ গঠনের জন্য দীর্ঘ দুই যুগ কারাবরণ ও নির্যাতিত নেতা।যিনি স্বাধীনতার দাবী আদায়ে অনড় থেকে মন্ত্রীত্ব ছেড়েছিলেন।
ইতিহাস বলে, নির্যাতন থেকে সমাজ, রাষ্ট্রকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে নির্যাতিত নেতা।
কালোর অধিকার আন্দোলনে নেলসন ম্যান্ডেলা ও সুদীর্ঘ বছর কারাগারের অন্ধকারে কাটিয়েছেন। কিন্তু তাঁকে হত্যা করা হয়নি।
দীর্ঘ ত্যাগ সাধনায় স্বাধীনতা এনে দিলেও’

বঙ্গবন্ধু কে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল ,হত্যা করেছিল মুখোশধারী খোন্দকার মোশতাক বাহিনী।
বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন,পশ্চিম পাকিস্তান সব নিয়ে গেলেও চোর গুলোকে রেখে গেছে এই দেশে।
সেই চোরের দল বঙ্গবন্ধু কে হত্যা করেছিল।
এখনও সেই চোর খোন্দকার মোশতাকদের বংশধররা এই মাটিতে গলাবাজি করে জয়বাংলা বলে।
আদর্শিক মামুষগুলো একবার জয়বাংলা বললে ‘তারা বলে দশবার। আদর্শিক আওয়ামী লীগের সংখ্যা বেশী হলেও হাইব্রিড সুবিধা ভোগীদের জন্য আজ সত্যিকারের আওয়ামীলীগ
নেতা কর্মীরা নির্যাতিত।
যে আদর্শ মানুষের সেবার,মানুষের পক্ষে থাকার সে আদর্শ মুখে রেখে টেন্ডার বাজি,দলবাজি করেন।
প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক দান করেন।
অথচ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিনিয়ত মানুষের অধিকার আদায়,সত্য বলন,আপোষহীন।
কিন্তু তাঁর আদর্শ, তাঁর ইতিহাস বিকৃতি চলছে!
কিছু পেশাদার রাজনীতিবিদ সৃষ্টি হয়েছে।
যারা সংগঠনের কার্যক্রম জাতীয় দিবস ভিত্তিক মিছিল মিটিং এ সফলভাবে সীমাবদ্ধতা দিয়েছেন।
অথচ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছিল চোর ও দালালমুক্ত সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের পথে নিরলস সংগ্রাম। কিন্তু সেই অদূরদর্শী রাজনৈতিক তথাকথিত হাইব্রিড নেতারা ভাবেন,১৯৭১সালে স্বাধীনতা অর্জন ছাড়া আর কোন দায়িত্ব দলের নেই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রতিনিয়ত অসহায়ের জন্য বিভিন্ন স্কিম অধিকার চালু করলেও মাঠ পর্যায়ে শোষক শ্রেণি গঠিত হয়ে শোষণ
করছে বিচারব্যবস্হা। যারা বঙ্গবন্ধু কন্যাকেও হত্যা করবার পায়তারায়,কারন তারা জানে শেখ হাসিনা বে্চে থাকলে তাদের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হতে আর সময় নেই।

নব্য শোষকের মাধ্যমে সমাজ প্রভাবান্বিত করার পায়তারায় তারা।
তারা আমাদের মতো তরুণদের বেগবান নি:স্বার্থ এগিয়ে চলাকে ভয় পায়।
তারা আমাদের নিশ্চিহ্ন করে গ্রাস করতে চায় সমাজ।
বঙ্গবন্ধুর মুজিব কোট পড়া সহজ,কিন্তু তাঁর আদর্শ ধারণ করা অনেক কঠিন।
সম্পূর্ণ নির্মোহ নির্লোভ প্রতিবাদী রাজনীতিবিদ সৃষ্টি না হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সাংঘাতিক আক্রান্ত হবে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বেঁচে থাকতেই সঠিক সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে খোন্দকার মুক্ত দল সংস্কার জরুরী।

তবে আমরা আশাবাদী ফিনিক্স পাখির পুনরাবৃত্তির মতো বঙ্গবন্ধু কে হত্যা করলেও যেভাবে শেখ হাসিনার এদেশে প্রত্যাবর্তন ও শক্ত লাগাম ধরা।
তেমনি নতুন রুপে বঙ্গবন্ধুর জন্ম হবে গ্রামবাংলার প্রত্যন্ত জনপদের তারুণ্যের সাহসীক হৃদয় হতে।
যাদের কর্ম ত্যাগে বিচক্ষণতায় গঠিত হবে শোষণমুক্ত সোনার বাংলা।