ছোটন কান্তি নাথ, চকরিয়া:
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জের কার্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত হয়ে পড়ে রয়েছে। এই রেঞ্জের কার্যালয়ের চারিদিকে নিরাপত্তামূলক কোন বাউন্ডারী দেওয়াল না থাকায় প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। এই অবস্থায় জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা কাজ করার পাশাপাশি অরক্ষিত রেঞ্জ এলাকার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের শতবর্ষী মাদার ট্রি লোপাটেরও শঙ্কা রয়েছে রাতের আঁধারে।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আতঙ্ক দূর করাসহ রেঞ্জ এলাকার বনের গাছ রক্ষা এবং রেঞ্জ কার্যালয়ের সৌন্দর্য্য বর্ধনসহ জন্য চারিদিকে বাউন্ডারী দেওয়াল নির্মাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম এমএ।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বারবাকিয়া বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আবদুল গফুর মোল্লার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সংসদ সদস্য (এমপি) জাফর আলম আজ শনিবার দুপুরে সরজমিন পরিদর্শন করতে যান রেঞ্জ কার্যালয় ও আশপাশের সংরক্ষিত বনভূমি।

এ সময় এমপির সাথে ছিলেন টৈটং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, বারবাকিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেছী, এমপির ব্যক্তিগত সহকারী আমিন চৌধুরী প্রমূখ।

এ সময় রেঞ্জ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা বারবাকিয়া রেঞ্জের অরক্ষিত কার্যালয়ের দুরবস্থা তুলে ধরেন এমপির কাছে। পরে এমপি জাফর আলম বারবাকিয়া রেঞ্জ কার্যালয়ের চারিদিকে বাউন্ডারী দেওয়াল নির্মাণ করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।

এমপি জাফর আলম বলেন, ‘আমি অচিরেই বারবাকিয়া রেঞ্জ কার্যালয় ও তদসংলগ্ন সংরক্ষিত বনভূমির শতবর্ষী মাদার ট্রিসহ বনের গাছপালা রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার দেবেন। পাশাপাশি সেই ডিও লেটারসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী মহোদয়ের সাথেও যোগাযোগ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবেন।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বারবাকিয়া বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আবদুল গফুর মোল্লা বলেন, ‘বারবাকিয়া রেঞ্জ কার্যালয়টি বর্তমান দুরবস্থার কথা শুনে মাননীয় এমপি মহোদয় সরজমিন পরিদর্শন করে গেছেন রেঞ্জ কার্যালয়। এ সময় এমপি মহোদয় আশ্বাস দিয়েছেন অচিরেই রেঞ্জ কার্যালয়ের চারিদিকে বাউন্ডারী দেওয়াল নির্মাণ এবং কার্যালয়ের সৌন্দর্য্য বর্ধনে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের।’

রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল গফুর মোল্লা আরো বলেন, ‘নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কার্যালয়ের চারিদিকে বাউন্ডারী দেওয়াল থাকাটা অতীব জরুরী। এটি বাস্তবায়ন হলেই দূর হবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভয়-আতঙ্ক।’