সিবিএন ডেস্ক:

ব্যবহারকারীর হাতের মোবাইল ফোনটা বৈধ না অবৈধ তা জানার জন্য একটি সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) নামের এই সিস্টেমটি আগামী ১ জুলাই চালু হবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। এর মাধ্যমে অবৈধ মোবাইল বন্ধ হয়ে যাবে। ফোন বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান তিনি।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘এরই মধ্যে আইএমইআই ডাটাবেজে ১৪ কোটি আইএমইআই নম্বর যুক্ত হয়েছে। সাত কোটি মোবাইল সেটের তথ্যও যোগ করা হয়েছে। সিস্টেমটি চালু হলে বিদ্যমান সব মোবাইল নিবন্ধিত হয়ে যাবে। এরপরে যেসব মোবাইল দেশে নিয়ম মেনে ঢুকবে না, সেগুলো সচল হবে প্রক্রিয়া মেনে।’

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন– ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত মৈত্র, কমিশনার (লিগ্যাল ও লাইসেন্সিং) আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘মোবাইল ফোনের সেবার মান খুবই খারাপ। কল ড্রপ, কথা না শোনাসহ অনেক অভিযোগ আমাদের কাছে আসে। এ সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি। সবই মোবাইল ব্যবহারকারীদের অভিযোগ। শর্টকোডসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এসব অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে।’

অপারেটর, টেলিকম সেবার সঙ্গে জড়িতদের সতর্ক করে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা অনিয়মকে রেগুলেট করবো আর ব্যবসাকে ফ্যাসিলিটেট করবো।’ তিনি বিটিআরসিতে জনবল ও কারিগরি ঘাটতি আছে উল্লেখ করে বলেন, ‘শিগগিরই এই ঘাটতি পূরণ হবে। এজন্য আমরা একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিটিআরসির ক্ষমতা ডটের (ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকম) কাছে যাচ্ছে না। ডট স্পেক্ট্রাম (তরঙ্গ)-সহ অন্যান্য বিষয় সমন্বয় করবে।’

বিটিআরসি চেয়ারম্যান ফাইভ-জি নিয়ে বলেন, ‘গাইড লাইন তৈরি হচ্ছে, টেকনিক্যাল টিম কাজ করছে।’ ২০২৩ সালের মধ্যে দেশে ফাইভ-জির বাস্তবায়ন শেষ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনি ইশতেহারেও তেমনটি উল্লেখ আছে।’