মোহাম্মদ হোসেন,হাটহাজারী :
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানার্থে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এ ৪টি দোকান অবৈধ ভাবে দখল নিয়েছে একটি চক্র।  সে গুলো দখলমুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধাদের বুঝিয়ে দিলেন ইউএনও। যেখানে ছিল অডিটোরিয়াম, মুক্তিযোদ্ধাদের অফিস এবং রয়েছে কয়েকটি দোকান।

 

এ সব প্রতিষ্টান ভাড়া দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান, দান অনুদান চলে। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানার্থে দেয়া এই উপহার প্রতিটি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সেরা উপহার।

ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে জনৈক ওমর ফারুক নামে এক ব্যক্তি তিনমাস আগে চারটি দোকান দখল করে নেন। সে সব দোকানে ডেকোরেশন করে সাজিয়ে নেন মনের মত। একটি ব্যক্তিগত অফিস, একটি স্টুডিও ও বাকী দুটি ষ্টোর হিসেবে ব্যবহার করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়মিত না যাওয়া ও নির্বাহী অফিসারের কর্মব্যস্ততার সুযোগে সে দখলে নেয় দোকানগুলো।কমপ্লেক্সের একটি দোকান উপভাড়া নিয়ে ব্যবসায়ীক কার্যক্রম শুরু করে। তারপর দখলে নেন খালি পড়ে থাকা চারটি দোকান। উপজেলা প্রশাসনের তালা থাকলেও তা ভেঙ্গে নিজের তালা লাগিয়ে দেন। আজ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দখল হওয়া চারটি দোকান উদ্ধার করে যাবতীয় মালামাল জব্দ করেন। একইসাথে দখলকারীকে পুলিশের সহযোগিতায় আটক করেন।

নির্বাহী অফিসার বলেন, এ ঘটনায় আমরা হতাশ। দেশের শ্রেষ্ঠ সম্পদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার দখল করা এটা মেনে নেয়া যায় না। এমন ঘটনাও দেখতে হল। ইতিমধ্যে দোকানগুলো বরাদ্দের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। অনেকেই আবেদন করেছেন সময় করে মুক্তিযোদ্ধারা বসে আলোচনা করে যোগ্য ব্যক্তিকে দোকান দেবেন কিন্তু তার আগেই একটি নয় দুটি নয় চারটি দোকানই অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছেন আটককৃত ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে আইনগত
ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল আলম বলেন, আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের এই উপহারটুকু দিয়েছেন আর সেটা যদি কেউ এভাবে দখলে তাহলে বলার কি কোন ভাষা আছে? আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। তার বিরুদ্ধে কমপ্লেক্সের নিচে পশ্চিমপাশে মুক্তিযোদ্ধা উদ্যানও দখল করার অভিযোগ তোলেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।