এম.মনছুর আলম,চকরিয়া :
চকরিয়ায় উত্তর বন বিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের আওতাধীন কাকারা বিট এলাকায় অভিযান চালিয়ে অন্তত ০.৫০একর বনবিভাগের জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ডিসেম্বর) দুপুরে চকরিয়া উপজেলার কাকারা বনবিটের শাহ ওমর এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়।

বনবিভাগ সূত্রে জানায়, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের কাকারা বনবিটের আওতাধীন সংরক্ষিত বনবিভাগের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণের খবর পেয়ে দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়। কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) তহিদুল ইসলামের নির্দেশনায় এবং ফুলছড়ি রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক মোহাম্মদ সোহেল রানার নেতৃত্বে
ও ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলামের সার্বিক সহযোগিতায় অভিযান চালায়। শিক্ষা প্রতিষ্টানের নাম ভাঙ্গিয়ে কাকারা শাহ ওমর এলাকায় বনবিভাগের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণকালে বনবিভাগ ওইসব স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে বিপুল পরিমাণ জায়গা অবৈধ দখলদারদের দখল উচ্ছেদ করে অন্তত ৪৫শতক জায়গা দখলমুক্ত করেন।
বনবিভাগের এ অভিযানে অংশ নেন শহর রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম আতা এলাহী, নলবিলা স্টেশন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, ডুলাহাজারা বনবিট কর্মকর্তা মো.ইলিয়াছ, ফাঁসিয়াখালী বনবিট কর্মকর্তা আবুল হোসেন ও কাকারা বনবিট কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরসহ বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বনজায়গীরদারসহ স্থানীয় শ্রমিকরা।

অভিযানে অংশ নেয়া ফাঁসিয়াখালী ও ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.মাজহারুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পাওয়ার পর ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে সহকারী বনসংরক্ষক মোহাম্মদ সোহেল রানার নেতৃত্বে দুপুরে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয় কাকারা বনবিটে। এসময় শিক্ষা প্রতিষ্টানের নাম ভাঙ্গিয়ে কাকারা বনবিটের শাহ ওমর এলাকায় বনবিভাগের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণকালে ওইসব অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে বনবিটের ০.৫০একর জায়গা দখলমুক্ত করে বনবিভাগের আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যারা বনবিভাগের জায়গা দখলের কাজে জড়িত রয়েছে তাদের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে পদক্ষেপ নেয়া হবে। অপরাধীদের বিষয়ে কোন ধরণের ছাড় নেই।