সিবিএন ডেস্ক:
কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ঠিকাদার নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) অনলাইনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ মোস্তফা কামাল।
বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘আজকের বৈঠকে আটটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের দুটি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের একটি প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া টেবিলে চাল ক্রয়ের একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।’
অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ মোস্তফা কামাল জানান, ‘কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যৌথভাবে এম/এস সিওয়াইডব্লিউইবি ও সিসিইসিসি কে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকায় এ কাজটি করবে।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অন্য এক প্রস্তাবে কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প (১ম পর্যায়) (৩য় সংশোধিত) পূর্ত কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০ কোটি ২৩ লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৫ টাকা। কাজটি পেয়েছে কোরিয়ার হাল্লা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন (১ম পর্যায়) (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের পূর্ত কাজ সম্পাদনে ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনক্রমে ৫৭৮ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৭৩৪ টাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। এ পর্যন্ত প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ৯৬.৩৪ শতাংশ। কিন্তু কিছু অতিরিক্ত কার্য সম্পাদনের জন্য প্রকল্পের ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৭০ কোটি ২৩ লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৫ টাকা প্রয়োজন হবে। ভেরিয়েশনসহ মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৬৫৩ কোটি ৭১ লাখ ৬ হাজার টাকা।
বৈঠকে অনুমোদিত অন্য প্রস্তাবগুলো হলো- স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন ‘দ্বিতীয় নগর অঞ্চল উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ১৩ হাজার ৪৬৭ টাকা। সম্পূর্ণ অর্থ আসবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণের টাকা থেকে। যৌথভাবে কাজটি করবে রেমবল ডেনমার্ক, একোয়া কনসালটেন্ট অ্যান্ড এসোসিয়েট লিমিটেড, রিসোর্স প্লানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড।
‘বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প, কুমিল্লা জোন’ প্রকল্পের আওতায় টার্নকি ভিত্তিতে আটটি সাব-স্টেশনের মানোন্নয়ন কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ১৯৯ কোটি ৬৯ লাখ ৭৪ হাজার ৪১৮ টাকায় কাজটি করবে আইডিয়াল ইলেকট্রিক্যাল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড।
এছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন ‘শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় ১৮ হাজার ৫৬২টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন হয়। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন ট্যুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) কাছ থেকে ২৮ কোটি ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৫৫৬ টাকায় এ খুঁটি কেনা হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।