গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক কক্সবাজার, দৈনিক বাঁকখালী, দৈনিক আপন কণ্ঠ এবং কয়েকটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে “স্কুল শিক্ষিকা শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা” শিরোণামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোছর হয়েছে। সংবাদটি সম্পূর্ণ বানোয়াট, মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মনগড়া তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে। এই সংবাদটি মানহানিকর ও হয়রানীমূলক।
সংবাদে উল্লেখিত বাশখালী উপজেলার দক্ষিন জলদি, রঙ্গিয়ার ঘোনা সাত ঘড়িয়াপাড়া এলাকার মৃত ছৈয়দ আহমেদের ছেলে রশিদ আহমদ একজন চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ি, নারী অর্থলোভী, মামলাবাজ। সে স্ত্রী এবং তিন সন্তান থাকার বিষয়টি গোপন করে চতুরতার সাথে, আমার সরল বিশ্বাসকে পুঁজি করে বিয়ে করে। স্ত্রী সন্তান থাকা সত্ত্বেও আমাকে বিয়ে করে আমার জীবনকে ভয়াবহ নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেয়। আমি প্রতিবাদ করি, ক্ষুব্দ হই, শারিরীক মানসিক ভাবে নির্যাতিত হতে থাকি প্রতি মুহুর্তে। এ ছাড়া সে নিয়মিত মাদক সেবন এবং বেচাকেনা করতো, দিন দিন এই মাত্রা ভয়াবহ হয়ে উঠে। এমনকি সৌদি প্রবাসীদের মধ্যে মাদক ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগও শোনা যায় তাঁর বিরুদ্ধে। এসব কারনে ২০১৬ সালে ২০ সেপ্টেম্বর আমি তাঁকে ডিভোর্স দেই। অর্থাৎ প্রতারনা করে বিয়ে করা,মাদক ব্যবসা, সোউদি আরবে মাদক পাচার, নিয়ন্ত্রনহীন মাদক সেবন এবং নানাবিধ অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারনে আমি তাঁর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ সম্পন্ন করি। এ ছাড়া আমার সাথে প্রতারনার অভিযোগে আমি তাঁর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা দায়ের করি। যার সি আর নং ৮২/২০১৯ ইং। সংবাদে রশিদ আহমদ আমার নামে জমি ক্রয়ের কথা বলেছেন। এটা একটা জঘণ্য মিথ্যা। মাদকাসক্ত ঐ ব্যক্তি জমি কেনা তো দূরের কথা মাদক সেবনের জন্যে আমাকে জিম্মি করে নানান সময় টাকা আদায় করতো। আমার জমি আমি নিজেই দীর্ঘদিনের জমানো টাকায় ক্রয় করি। বিকাশে আমাকে বিপুল পরিমান টাকা দেয়ার কথা বলা হলেও তা গাল গল্প ছাড়া কিছুই নয়। রশিদ আহমদ সৌদি আরব থাকলে বিকাশে কিভাবে টাকা পাঠায়। তাছাড়া টাকা পাঠালেতো আমার ব্যাংক হিসেবে পাঠাতে পারত। আমার ব্যাংক হিসেবে টাকা পাঠিয়েছে এই প্রমানও সে দিতে পারবেনা। সে কখোনো টাকা পাঠায়নি।
সংবাদে আমার নামে যে ওয়ারেন্ট থাকার বিষয় বলা হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রশিদ আহমদ আমাকে ফাসানোর জন্যে এই মামলা করে। পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করে আমার বিরুদ্ধে একটা প্রতিবেদন বানায়। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা আমার সাথে যোগাযোগ পর্যন্ত করেনি এবং নিরপেক্ষ সাক্ষ্য প্রমাণ নেয়নি। এ ছাড়া এ মামলায় স্ট্যাম্প জালিয়াতির কোন প্রমান পাওয়া যায়নি। তাছাড়া কাউকে তালাক দিতে স্ট্যাম্প লাগেনা সাদা কাগজই যথেষ্ট। এরপর সচেতন সংবাদমাধ্যমকে কিভাবে এই কুখ্যাত রশিদ বিভ্রান্ত করে আমার বিরুদ্ধে এই রকম মানহানিকর, হয়রাণিমুলক মিথ্যা খবর পরিবেশন করছে আমার বোধগম্য নয়।
এইসব মিথ্যা মামলা ছাড়াও মাদক কারবারি রশিদ আহমদ আমাকে নানাভাবে আমার কর্মস্থলে হয়রাণি করে আসছে। এরি অংশ হিসেবে আমার সামাজিক, পারিবারিক সম্মান ক্ষুন্ন করার হীন মানসে নানান স্থানে চিঠি পাঠিয়ে, ভাড়াটে লোক দিয়ে আতংক তৈরি করছে। আমাদের সচেতন, বিজ্ঞ সাংবাদিক মহলকে নানাভাবে প্রভাবিত করে আমার বিরুদ্ধে জঘণ্য এই সব নিউজ করাচ্ছে। আমি আপনাদের কাছে সদয় বিবেচনা আশা করি। রশিদ আহমদের এসব প্রতারণা, অপকর্মের বিরুদ্ধে আমি কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি। আমাকে নিয়ে প্রকাশিত মিথ্যা, বানোয়াট, কল্পণাপ্রসূত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এই রকম সংবাদে কাউকে বিভ্রান্ত না হয়ে সত্য ঘটনা জেনে সংবাদ পরিবেশনের সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী
শামিমা আকতার
পেকুয়া, কক্সবাজার।