তারা এক সাথে!

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ১০:১৯

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


নিজস্ব প্রতিনিধি :

পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি আকম সাহাব উদ্দিন ফরায়েজীকে হত্যার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করা হয় বিগত কয়েক বছর আগে। সেই মামলার পক্ষে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেছিলেন টইটং ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নিহত ফরায়েজীর ভাগনে জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী। এ ঘটনার পর তিনি চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হন।

ওই মামলায় আসামী করা হয় উপজেলা আ’লীগের সহসভাপতি টইটং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এম শহিদুল্লাহ, সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোসলেম উদ্দিনসহ আরো বেশ কয়েকজনকে। তারপর থেকে এ তিনজনের ভিতর খুব খারাপ সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর একজন অপরজনের দেখা সাক্ষাত ও কথা বলা ছিল আকাশ কুসুম কল্পনা। বিভিন্ন সভা সমাবেশে তারা একে অপরের বিষেদাগারও করতো। রাজনৈতিক অবস্থান দুইজন আ’লীগ হলেও অপর ছিল বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। যার কারণে মনে করা হতো তারা কখনো এক হতে পারবেনা।

সর্বশেষ আ’লীগ ও বিএনপি ঘরনার সাবেক এ তিন চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও মোসলেম উদ্দিনকে এক সাথে ও আনন্দঘন পরিবেশে দেখা গেছে।

সোমবার দুপুরে টইটং বাজার সমিতির নির্বাচিত নেতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাদেরকে এক সাথে আনন্দঘন পরিবেশে ফুলের মালায় সিক্ত করার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

ছবি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে আ’লীগ ও সহযোগি সংগঠনের কর্মী সমর্থকরা এ ঘটনাকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ও অভিনন্দন জানালেও বিএনপির পক্ষ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তবে সাধারণ জনগণ তাদের তিনজনকে এক সাথে আনন্দঘন পরিবেশে দেখতে পেয়ে টইটংয়ের অশান্তি রাজনীতির অবসান হবে বলে আশাবাদী। তবে অনেকে এই মিলিত হওয়াকে ভোটের রাজনীতি বলে ধারণা করেছেন।