আতিকুর রহমান মানিকঃ
বাইরে চাকচিক্যময় ও চটকদার সাজসজ্জা থাকলেও ভিতরের পরিবেশ সম্পূর্ণ ভিন্ন।
নোংরা পরিবেশে খাবার প্রস্তুত, বাসি খাবার সংরক্ষণ ও বেকারী পণ্যের প্যাকেটের গায়ে উৎপাদন এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না দেয়াসহ আরো বিভিন্ন অনিয়মের মধ্যেই এতদিন চুটিয়ে ব্যবসা করে আসছিল শহরের ঝাউতলার জামান হোটেল, পিজা প্যালেস ও পিজা বেকারী।
কিন্তু ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে এসব ধরা পড়ায় জরিমানা গুনেছে উপরোক্ত তিন প্রতিষ্ঠান।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) এ অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজার’র আভিযানিক টীম।
জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোক্তা অধিকার কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ ইমরান হোসাইনের নেতৃত্বে কক্সবাজার শহরের ঝাউতলা এবং কলাতলী আদর্শ গ্রাম এলাকায় এ বাজার তদারকি অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে ঝাউতলা এলাকার হোটেল জামানকে নোংরা পরিবেশে খাবার প্রস্তুত ও সংরক্ষন করা ও খাবার প্রস্তুতের সময় মাস্ক ব্যবহার না করার অপরাধে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এলই সময়ে পিজা প্যালেস কে বাসি খাবার বিক্রির উদ্দেশ্যে সংরক্ষন করার অপরাধে ২ হাজার ও পিজা বেকারীকে প্যাকেটের গায়ে উৎপাদন এবং মেয়াদউত্তীর্নের তারিখ না দেওয়া, খুচরা মূল্য উল্লেখ না করা, নোংরা পরিবেশে খাবার প্রস্তুত ও সংরক্ষন করার অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় ঝাউতলা এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে ব্যবসায়ীদের মাঝে ভোক্তা অধিকার আইন সম্পর্কে প্রচারনা করা হয়।
অভিযানকালে ব্যবসায়িদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মূল্য বেশি না রাখা ও অমুমোদনবিহীন পন্য বিক্রি না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
অভিযানে সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করেন এপিবিএন ১৪ এর পুলিশের এক দল সদস্য।
জনস্বার্থে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজার’র সহকারী পরিচালক মোঃ ইমরান হোসাইন।