প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
প্রকৃতিতে শীতের আমেজ। রোদের রং উজ্জ্বল হয়, একটু একটু করে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে বাতাসে। এরই মধ্যে স্মৃতিরোমন্থনে মিলনমেলায় একঝাঁক  তরুণ তরুণী।
তাঁদের সবার বয়স বাইশের ঘরে। কিন্তু স্মৃতির আয়নায় চোখে- মুখে তারুণ্যের প্রকাশ যেন সেই ঝলমলে একুশ।
কেউ বন্ধুর গলা জড়িয়ে হাঁটছেন, কিউ বান্ধবীর গলা জড়িয়ে হাঁটছেন। কিউ বন্ধু ও বান্ধবী কে নিয়ে সেলফি তুলছেন, চিরচেনা গানের সূরে নেচে -গেয়ে আনন্দে আত্মহারা অনেকেই।

এমনই বৈচিত্র্যময় এক উৎসবের আনন্দে মেতে উঠেছিল রামু মেরুংলোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ।২৭ শে ডিসেম্বর (রবিবার) ২০১১ শিক্ষাবর্ষের পিএসসি পরীক্ষার্থীদের আয়োজনে আনন্দে – উৎসবে মেতে ছিলেন শতাধিক বন্ধু। রামুর বাহিরে ও অনেক এসেছেন শুধু এই মিলনমেলায় অংশ নিতে,সবার সাথে দেখা করার জন্য।
ভালো কিছু করার প্রত্যয়ে এটি একটি অনেক বড় ইতিবাচক দিক বলে সবাই মনে করছেন।
উৎসবের নাম মিলনমেলা।সেই মিলনমেলা ঘিরে বন্ধুকে কাছে পাওয়ার অভূতপূর্ব মহুর্তগুলোর উচ্ছলতা চোখে না দেখলে বোঝা যায় না।সকাল ১০ টার পূর্বে
২০১১ শিক্ষাবর্ষের পিএসসি পরীক্ষার্থীদের পদভারে মুখর হয়ে ওঠে। বন্ধু কেমন আছিস,কী খবর বল? কুশল বিনিময় আর হৃদয়ের উষ্ণতায় প্রাণের টানে শৈশবের সেই দিনগুলোয় ফিরে আসা।স্থানে স্থানে গল্প, আড্ডা দিলেও এখানে -সেখানে বসে গেছেন। এর মধ্যে চলে সকালের নাস্তা পর্ব।মিলনমেলায় অংশগ্রহণ কারী প্রাক্তন ছাত্রী সুলতানা রাজিয়া ওহি বলে ভালোবাসার টানে বন্ধুের সঙ্গে দেখা করব বলে চলে এসেছি। তাই নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। আমি সবাই কে আবার বলব বন্ধু শক্তি, বন্ধু প্রেরণা। আরেক বন্ধু শাহানেওয়াজ ফরহাদ বলেন মিলনমেলার মাধ্যমে কিছু বন্ধুবৎসল পাগলা একত্র হলাম।ঐতিহাসিক এ মিলনমেলা বারবার মনে উদয় হল আমরা ক্লাসে আছি। মনে চাই আবার শৈশবে ফিরে যেতে, শিক্ষকদের শাসন পড়া না পারলে বেতের বাড়ি, দুষ্টুমি,স্কুল পালানো টিফিনের পটার পালানো, সহপাঠীর সঙ্গে খুনসুটি ইত্যাদি খুব মিস করি। আরেক বন্ধু জাহেদুল হক নিশান
বলেন বন্ধুের সঙ্গে একত্র হওয়ায় এক মিলনমেলায় রূপান্তরিত হয়েছে। এই বন্ধুত্ব কোন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বজায় থাকবে আমার বিশ্বাস। সারা জীবন যেন বন্ধুদের পাশে থাকতে পারি। হাসি- আনন্দের পাশাপাশি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে সবার জন্য কাজ করবে যেখানে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা এবং গঠনমূলক ও সমাজসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি মাইলফলক তৈরি করবে বলে
আয়োজকসহ ও সকল অ্যাডমিনরা স্বপ্ন দেখছেন। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে মিলনমেলার পাশাপাশি অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে বলেও জানাম। দুপুরের মধ্যাহ্নভোজের পর বিকেলে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ব্যাচে বন্ধুদের হাস্যরসে ভরা উপস্থাপনা মাতিয়ে রাখে সকল শ্রোতাকে, নাচে-গানে মঞ্চ মাতান শিল্পীরা, শেষে আবার দেখার প্রতিশ্রুতিতে ভাঙে মিলন মিলনমেলা। এই মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে আরও আনন্দ দেন মেরুংলোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মৌলনা তৈয়ব, বর্তমান প্রধান শিক্ষক আজিজ, শিক্ষিকা কনিকা পাল, শিক্ষিকা নাছিমা আক্তার, শিক্ষিকা সেলিনা।
এর মধ্যে যাদের আক্রান্ত পরিশ্রমে এই রিউনিয়নের আয়োজন করা হয়েছে তারা হচ্ছে প্রাক্তন ছাত্র ইমরানুর রহমান,সাইফুল ও মিজবাউল হক,সুলতানা রাজিয়া।