জাহাঙ্গীর আলম কাজল, নাইক্ষ্যংছড়ি:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার খিষ্টানদের সবচেয়ে বড়দিন পালনে ব্যতিক্রমর্ধমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সীমান্তবর্তী দূর্গম বাইসাং পাড়ায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি ত্রিপুরা সম্প্রদায়। ক্ষুদ্র এ সব নৃ-গোষ্টিরা এখন অনেক অগ্রসর এবংশিক্ষিত।

শুক্ররবার (২৫ ডিসেম্বর) তাদের ধর্মগুরু যীশু খ্রীষ্টের জন্ম দিন। এ দিনকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্যে তারা আয়োজন করেছে নানা আয়োজন। এ উপলক্ষে তারা তাদের নব প্রতিষ্টিত গির্জায় প্রার্থনায় সারা দেশের মানুষের মঙ্গল কামনা করেন। এর পর তারা একে অপরকে নানা ধরণের উপহার দেয়ার পাশাপাশি চলে শুভেচ্ছা বিনিময়।

এভাবে জমকালো অনুষ্ঠানে পুরো ত্রিপুরা পাড়াকে সাজিয়ে আলোকিত করে তারা। চলে নানা আয়োজন। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরের দূর্গম পাহাড়ে উৎসবের মেলা। তারা বেলা সাড়ে ১১টায় আয়োজন করে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টান । এতে পাহাড়ি নৃত্য,উপজাতীয় গান,নাচ ধর্ম সভা সহ নানা বৈচিত্রতা ছিলো দিন ব্যাপি।

ব্যতিক্রমধর্মী এ উৎসবে দূর পাহাড়ের নানা ধর্মের শতশত নৃ-গোষ্টির লোকজন অংশ নেন। এদের মধ্যে চাক,ত্রিপুরা,মার্মা,মুরুং এবং বাঙ্গালী জনগোষ্টির অনেক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ করে আলোচনা সভায় এবং অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক শফিউল্লাহ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানা’র অফিসার ইনচার্জ ওসি মুহাম্মদ অালমগীর হোসেন, বান্দরবান জেলা পরিষদ সদস্য ক্যানোওয়ান চাক, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা অাক্তার, জেলা অাওয়ামীগের সদস্য অধ্যাপিকা রওশন অাক্তার, উপজেলা অাওয়াী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো; ইমরান, পাড়ার কৃতি সন্তান বিজিবি সদস্য দানিয়াল ত্রিপুরা। সভায় সভাপতিত্ব করেন পাড়া প্রধান অভিরাম ত্রিপুর।

এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ,সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ,শিক্ষক,লেবু -গাছ কাঠুরিয়া,নানা পেশার শ্রমজীবি মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রামবাসীকে শীতের কম্বল, মাস্ক বিতরন এছাড়াও পাড়াকেন্দ্র, নলকূপ, উদ্বোধন,স্বাস্হ্য সেবা,নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।

বিশেষ করে শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়নের ঘোষনা দেন তিনি। বড়দিন উপলক্ষে অত্র গ্রামের সমস্যা সমাধানে এ ধরনের ঘোষনায় খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহনকারী ত্রিপুরারা দারুন খুশি হন। তারা উপজেলা চেয়ারম্যান ও পাবর্ত্য চট্রগ্রাম মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বীর বাহাদুরের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।