শাহীন শাহ, টেকনাফ :

কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে প্রথম হিজড়াদের (তৃতীয় লিঙ্গ) আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের ব্যতিক্রধর্মী উদ্যোগে হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আয় বর্ধক প্রশিক্ষণের আওতায় আধুনিক দর্জি বিজ্ঞান (টেইলারিং) প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণ শেষে ৪০ জন হিজড়া জীবনযুদ্ধে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

যারা দোকান পাটে টাকা পয়সা তুলে সময় করতো। তাদের কর্মজীবী মানুষ হয়ে বাঁচাতে চেষ্টা করছে উপজেলা প্রশাসন । হিজড়াদের নিজেদের স্বনির্ভর করতে সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে প্রায় একমাস আয়বর্ধক প্রশিক্ষণের আওতায় দর্জি (টেইলারিং) প্রশিক্ষণের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। এ প্রশিক্ষণে ৪০ জন হিজড়া অংশ নেন।

গত পহেলা ডিসেম্বর হতে প্রায় একমাস প্রশিক্ষণ শেষে গত বৃহষ্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে হিজড়া জনগোষ্ঠীদের মাঝে প্রশিক্ষণ সামগ্রী, সনদপত্র সহ কম্বল বিতরণ করা হয়।

এই উপজেলা প্রায় দুই শত হিজড়া থাকলেও ৪০ জন হিজড়াদের স্ব নির্ভর হতে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পর্যায়ক্রমে সবাইকে আয়বর্ধক প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে বলে জানা গেছে। এ দিকে হিজড়ারা এখন বেকার সময় না কাটিয়ে প্ররিশ্রম করে এগিয়ে যাওয়া প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহেরা আক্তার মিলি সহ অন্যান্যরা।

এদিকে বক্তারা বলেন, হিজড়া জনগোষ্ঠী সদস্য যাতে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন না হয়, সে লক্ষ্যে তাদেরকে স্বাবলম্বী করা একটি প্রয়াস। এজন্য সমাজের সকল শ্রেণী প্রতিনিধিদের সহযোগিতার প্রয়োজন। সমাজের কেউ যাতে না পড়ে সে লক্ষ্যে মাদার অফ হিউম্যানিটি খ্যাত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ কার্যক্রম জনগোষ্ঠীর জন্য আবাসন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। সকল সুযোগ সুবিধা আওতায় আনা হচ্ছে।