মুহাম্মদ মনজুর আলম ,চকরিয়া :

কক্সবাজারের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ডেইলপাড়া জামে মসজিদ এবং মিফতাহুল উলুম এতিমখানা ও মাদ্রাসার নামে ওয়াকফ্কৃত জায়গা প্রভাবশালী কর্তৃক জোরপূর্বক দখল এবং স্থাপনা নির্মাণ করা নিয়ে আদালত শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনা পেয়ে পুলিশ সরজমিন অকুস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের নোটিশ প্রদানসহ স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণকাজ বন্ধে নির্দেশ দিয়ে চলে আসছিল।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই অবস্থায় অভিযোগকারী পক্ষের লোকজনের ওপর বেপরোয়া সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে দখলবাজ-সন্ত্রাসীরা। হামলায় মসজিদ-মাদ্রাসার মোতওয়াল্লী ও জমি ওয়াকফ্কারী ৮০ বছরের এক বৃদ্ধসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছে। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ (গতকাল) বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডেইলপাড়া জামে মসজিদ এবং মিফতাহুল উলুম এতিমখানা ও মাদ্রাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহতরা হলেন ডেইলপাড়ার মৃত মোখলেছুর রহমানের পুত্র নিজের জমি মসজিদ-মাদ্রাসার নামে ওয়াকফ্কারী এবং মোতওয়াল্লী মাওলানা আলী হোসেন (৮০), তাঁর চার পুত্র যথাক্রমে রুহুল কাদের (৫০), রুহুল আমিন (৫২), হাবিবুল করিম (৩৫) ও আজিজুল করিম (৩০)।

হামলার ঘটনায় চকরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন আহত হাবিবুল করিম। তিনি দাবি করেন, স্থানীয় ভূমিদস্যু আবুল হাসেমসহ ১০-১২ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার সময় তাদের কাছ থেকে নগদ প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা লুট এবং মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য সেখানে রক্ষিত প্রায় ২৫ হাজার টাকার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ভাঙচুর ও তছনছের মাধ্যমে নষ্ট করে।

তিনি বলেন, ‘আমিসহ চার ভাইকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পেটানোসহ আমার ৮০ বছরের বৃদ্ধ বাবা মসজিদ-মাদ্রাসার জমিদাতা ও মোতওয়াল্লী আলী হোসেনকে আছাড় মেরে গুরুতর আহত করা হয়েছে।’

আদালত কর্তৃক নির্দেশনা পেয়ে সরজমিন ঘটনাস্থল তদন্ত করতে যাওয়া থানার এসআই সারওয়ার জাহান মেহেদী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিষয়টি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’

চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ‘হামলার ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করতে একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা থাকলে মামলা নেওয়া হবে।’