আবুল কালাম , চট্টগ্রাম :
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মুরাদগর আহাম্মদ খলিল মেম্বার বাড়িতে গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে পুড়েছে সাত বসত ঘর।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে কিন্তু ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ৭ পরিবারের পরিবারের স্বপ্ন। অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া পরিবার গুলোর ক্ষতির আনুমানিক পরিমাণ ২০ লক্ষ টাকা মত হয়েছে জানাই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
যাদের ঘর আগুনে পুড়েছে, মাহবুবুল আলম, জাগের হোসেন,মো. আলমের,মো. নুরুচ্ছাফা, মো. দিলু মনি, মো. সেলিম, মো. ইয়াছিনুচ্ছফা। উত্তর পাশ্ববর্তী একটি পাকা ঘরের আগুনে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মোট সাত পরিবারের আগুনে পুড়ে।
এদিকে আগুনের সূত্র তথ্য দিয়েছে রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন কর্মকর্তা লিটন হাওলাদার বলেন— এক পরিবারে নতুন গ্যাস সিলিন্ডার আনা হলে ভুলবশত সিলিন্ডারের পরিপূর্ণ সংযোগ দিতে না পারায় বাইরে গ্যাস বেরিয়ে যায়, যার ফলে সাথে সাথে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আনি।
স্থানীয় পৌরসভার কাউন্সিলর তারেকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন– আগুনের সূত্রপাত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে হয়েছে আমি জানতে পারি পরে কিন্তু আগুনের বিস্তার আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে স্থানীয় লোকজন আমরা সহ চেষ্টা করেছি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে। পরে মহিলা কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুনে পুড়ে যাওয়া পরিবারের খোঁজ খবর নেন এবং সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ছুটে যান পৌর মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার ও অন্যান্য ওয়ার্ডের কাউন্সিলরা। ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে তাৎক্ষণিক চাল, ডাল, তেল, আলু, লবণ, পেয়াজ ও শীতের কম্বল দেন। তিনি বলেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা প্রদানের জন্য রাঙ্গুনিয়ার সাংসদ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আপনাদের পাশে অবশ্যই থাকবে।
পরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন রান্নার সামগ্রী, শীতের কম্বল প্রদান করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।