সংবাদদাতা:
কক্সবাজার জেলার টেকনাফ পৌরসভার বিভিন্ন বাড়িতে এবং টেকনাফ সদরের বাজারে বিভিন্ন দোকানে দেওয়া হয়েছে দুটি করে বালতি। সবুজ রঙের বালতি দেওয়া হয়েছে পচনশীল আবর্জনা রাখার জন্য এবং নীল বালতি দেওয়া হয়েছে অপচনশীল আবর্জনা রাখার জন্য। প্রতিদিন ৩৮ জন প্রশিক্ষিত কর্মী সেসব আবর্জনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন ব্র্যাক স্থাপিত জৈব সার প্রস্তুত কেন্দ্রে। যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই কেন্দ্রে উৎপাদিত হচ্ছে জৈব সার। প্রতিমাসে প্রায় ৩০০ কেজি সার উৎপাদনে সক্ষম এই কেন্দ্র। এখন পর্যন্ত উৎপাদিত সার স্থানীয় কৃষক ও নার্সারী মালিকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে স্থানীয় কৃষকেরা এই সার সুলভমূল্যে কিনতে পারবেন।
প্রায় দুমাস ধরে সচল হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে এই জৈব সার প্রস্তুত কেন্দ্রটি মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) উদ্বোধন করেন টেকনাফ পৌরসভার মেয়র হাজী মোহাম্মদ ইসলাম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ পৌরসভার সচিব, কাউন্সিলরবৃন্দ, ব্র্যাক ও ইউএনডিপি-এর দায়িত্বশীল কর্মীবৃন্দ।
উদ্বোধনকালে মেয়র হাজী মোহাম্মদ ইসলাম এই প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। টেকনাফের জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলে ব্র্যাক নির্দেশিত ঝুড়িতে যথাযথভাবে ময়লা ফেলবেন। এতে আমাদের এলাকা পরিচ্ছন্ন থাকবে এবং কৃষক ভাইয়েরা উপকৃত হবেন।’
উল্লেখ্য, ইউএনডিপি-এর অর্থায়নে এবং ব্র্যাক মানবিক সহায়তা কর্মসূচির বাস্তবায়নে এই জৈব সার প্রস্তুত কেন্দ্রে প্রায় তিন হাজার বাড়ি এবং দোকান থেকে জৈব ও অজৈব আবর্জনা সংগ্রহ করা হয়। প্রকল্পটিতে বিভিন্ন কারিগরি এবং প্রশিক্ষণ সহায়তা দিয়েছে উন্নয়ন সংস্থা প্র্যাকটিকাল অ্যাকশন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।