মোঃ কাউছার ঊদ্দীন শরীফ, ঈদগাঁও:
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও জালালাবাদ ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র কমপ্লেক্সেের প্রবেশপথে ময়লা আবর্জনা পাহাড়।দেখার কেউ নাই।এময়লা চোখে দেখলে মনে হবে হাসপাতাল নয় যেন ময়লা আবর্জনা নোংরা ও দূর্গন্ধের ভাগাড়।এতে স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

কক্সবাজারের প্রবেশদ্বার খ্যাত বৃহৎ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত বৃহত্তর ঈদগাঁও বাজার। এই বাজারটি বহুমুখী বাণিজ্য কেন্দ্র। এবাজারের ডিসি সড়কের ভূমি অফিসের পশ্চিম পাশে অবস্থিত ইউনিয়নের স্বাস্থ্যকেন্দ্র এর প্রবেশ পথ দেখে বুঝার অবস্থা নেই এটি হাসপাতালের প্রবেশ পথ না ময়লা আবর্জনা পাহাড়। এ চিত্র অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা ঈদগাঁও বাজারের ।এবাজারে, ঈদগাঁও, ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, পোকখালী, জালালাবাদ চৌফলন্ডী ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার লক্ষাধিক মানুষ দৈনিক যাতায়াত করেন।এছাড়াও বাইশারী, ঈদগড় নাইক্ষ্যংছড়ির ডুলহাজারা,খুটাখালী, রামু,রশিদনগর,জোয়ারিয়ানালা এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ ব্যবসা বাণিজ্যসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে আসা-যাওয়া করে থাকে।বিশ্বায়নের এই যুগেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি এমন স্বাস্থ্যকেন্দ্র কিংবা হাসপাতাল খুঁজে পাওয়া যাবে না। নামে ইউনিয়ন আধুনিক হাসপাতাল হলেও বাস্তব অবস্থা চোখে না দেখলে বলে বুঝানো যাবে না। তেমই একটি হাসপতালের চিত্র না ছবিতে ফুটে উঠছে জালালাবাদ ইউনিয়ন হাসাপতাল বা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।এখানে নেই কোন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বরং আবর্জনা অপসারণের নির্দিষ্ট স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কমপ্লেক্সে নেই সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা যে যার মত যেখানে সেখানে ময়লার স্তুপ ফেলে রেখেছে। রোগীর ওয়ার্ড গুলোতে মুত্রের দূর্গন্ধে ভরপুর। রোগীর খাবার সরবরাহের জায়গা এবং যেখানে রোগিরা খাবার রাখে খাই সেখানের পরিবেশ আরও ভয়াবহ। হাসপতালের মূল ভবন থেকে প্রবেশ করে পিছনের ভবনে যাওয়ার পথে সিঁড়ির পাশেই ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। পাশের দেওয়ালের বাইরের দিকে দুর্গন্ধে নাক বন্ধ করে রোগীর ওপারে যেতে হয়। হাসপাতাল সংলগ্ন চারদিকে ড্রেনগুলোতে পানিতে মুত্র বর্জ্য ও ময়লা আবদ্ধ হয়ে হাসপাতালের সমস্ত পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। চরম নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রোগীদের কার্যক্রম চলছে।

এ হাসপাতালের ভবনের দুইদিকে দুইটি ওয়ার্ড রয়েছে একটি পুরুষ এবং একটি মহিলা ওয়ার্ড। দুটোই আবর্জনা ময়লা ও দূর্গন্ধযুক্ত। বাথরুম টয়েলেটের অবস্থা আরও শোচনীয়।এখানে রোগী ভর্তি হয় রোগ সারাতে। সেখানে রোগ সারা তো দূরের কথা রোগের উপসর্গ আরও সঙ্গে নিয়ে যায়। এমনকি রোগীদের সাথে আসা সুস্থ্য স্বজনরাও অসুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। এসব মিলিয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র কমপ্লেক্সে হাসপতাল এখন ময়লা আবর্জনা ও দূর্গন্ধের ভাগারে পরিণত হয়েছে।এই ময়লা আবর্জনা নোংরা ও দূর্গন্ধের ভাগাড় থেকে রেহাই পেতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী জনসাধাণ।

স্থানীয় বাসিন্দা খালেদ জানান, বাজারে আসার সময় এই দুর্গন্ধ থেকে কোনোভাবেই মুক্তি মেলে না এলাকাবাসীর।

এলাকার বৃদ্ধ কামাল মিয়া জানান,। বাজারে কাজের প্রয়োজনে বের হলে শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করি। অতিদ্রুত এ ময়লা আবর্জনা ও বর্জ্য এ স্থান থেকে সরিয়ে ফেলা না হলে এলাকার মানুষরে বসবাস করা দায় হয়ে পড়বে।

এব্যাপারে জালালাবাদ ইউনিয়নের স্বাস্থ্যকেন্দ্র কমপ্লেক্স এর ডাক্তার তিনাশাহার সাথে কথা হলে তিনি বলেন,হাসপাতালে চতুর্পাশের কিছু ব্যবসায়ীরা দোকানের ময়লা আবর্জনা পেলে নোংরা ও দূর্গন্ধের ভাগাড় করেছে।এই বিষয়ে আমি জালালাবাদের ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ এবং বাজার পরিচালনা পরিষদের বরাবর অভিযোগ করেছি।