দীপক শর্মা দীপু :

১৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহরের বৈল্ল্যা পাড়ায় ডিসি কলেজের নবনির্মিত ভবনের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়েছে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ডিসি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন বলেছেন, কক্সবাজার ডিসি কলেজের শিক্ষার্থীরা নি¤œ পদে চাকুরি করুক সেটা কামনা করিনা। তাদের মানব সেবা ও দেশের উন্নয়নে সৎ ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। দেশের বিভিন্ন স্তরে তাদের নেতৃত্বে পরিচালনা হবে দেশ। তারা হবে রাজনৈতিক নেতা , তবে বড় নেতা। তারা সরকারি চাকুরি করবে, তবে প্রথম শ্রেণির অফিসার। তারা সাংবাদিক – তারা শিক্ষক হবে, তবে তাদের হতে হবে উচ্চমানের । ডিসি কলেজের শিক্ষার্থীদের নানাক্ষেত্রে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসতে হবে। আমি থাকবোনা, কিন্তু প্রতিষ্ঠান থাকবে। আর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যখন ডিসি হবে , বড় নেতা, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্বনামধন্য ব্যক্তি হবে তখনি হবে আমার স্বার্থকতা এবং প্রতিষ্ঠাকালীন যারা সময়, শ্রম, সহযোগিতা করেছেন তাদের স্বার্থকতা। তিনি ছাত্র ছাত্রীদের সেইভাবে গড়ে উঠার জন্য আহবান জানান।

তিনি ডিসি কলেজের প্রতিষ্ঠার স্মৃতি বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, বায়তুশ জব্বরিয়া একাডেমির একটি অনুষ্ঠানে তিনি আসেন। পাশে সরকারি কর্মচারিদের থাকার পরিত্যক্ত ভবন ও জমিটি দেখতে যান তিনি। তিনি যখন গেইট দিয়ে ঢুকেন তখন দেখতে পান তিনটি পরিত্যক্ত ভবন রয়েছে। আর এসব পরিত্যক্ত ভবনের কাছে গেলে দেখতে পান কিছু যুবক মাদক সেবন করছে। পরে দেয়াল টপকিয়ে তারা পালিয়ে যায়। তখনি তিনি সিদ্ধান্ত নেন এলাকাটি সন্ত্রাস ও মাদকম্ক্তু করতে হবে। তাই তিনি উদ্যোগ নেন এই জমিতে কলেজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য। এতে এক কাজে দুই কাজ হবে। এলাকাটি মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত হবে অন্যদিকে নতুন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে, শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে এলাকাটি। তাই তিনি কক্সবাজার ডিসি কলেজ নামকরণ করে এর যাত্রা শুুরু করেন। শুরুতে বিজ্ঞান বিভাগ দিয়ে শুরু হলেও এখন বানিজ্য ও মানবিক বিভাগ রয়েছে। বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের অধ্যয়নে মেধাবী হিসেবে গড়ে উঠছে। আগামিতে এটি হবে দেশের স্বনামধন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল আলম চৌধুরী বলেন, মানুষের জন্ম হয় মানুষ মরে যায়। এর মধ্যে কিছু মানুষ মরেও অমর হয়ে থাকে। একজন মানুষকে জন্মে নয়, কর্মে বাঁচিয়ে রাখে। মানুষের জীবনের কর্মে মৃত্যুর পরও সবার মাঝে বেঁচে থাকে। তেমনি একজন আমাদের মাঝে যুগ-যুগান্তর বেঁচে থাকবেন তিনি হচ্ছেন জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন। তিনি কক্সবাজারে যেসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন সেই সব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি সব সময় আমাদের মাঝে উজ্জীবিত থাকবেন।

কক্সবাজার ডিসি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: শাজাহান আলীর সভাপেিতত্ব অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: আবু তাহের, সিনিয়র সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ, কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর রাজবিহারী দাশ। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিসি কলেজের অধ্যক্ষ মো: ইব্রাহীম হোসাইন।