এম.এ আজিজ রাসেল :
এবার কক্সবাজার শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় নানা ব্যতিক্রম আয়োজন করা হয়েছে। তারমধ্যে নতুনভাবে সংযোজন হয়েছে দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু কর্ণার। মেলায় আগত দর্শণার্থীদের আলাদা নজর কাড়ছে এটি। বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসের সন্ধ্যায় ফিতা কেটে বঙ্গবন্ধু কর্ণার এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।
উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই মহান মানুষটি জীবদ্দশায় শুধুই দেশ ও জাতির জন্য কাজ করে গেছেন। যার জন্য দীর্ঘদিন তিনি ছিলেন পাক হানাদার বাহিনীর অন্ধকার কারাগারে। তবুও তিনি গেয়েছেন মানবতার জয়গান। তার জন্যই আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশে প্রাণভরে স্বস্তির নিঃশ^াস নিচ্ছি।
পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান আরো বলেন, যার অশেষ অবদানে যে বাংলাদেশের সৃষ্টি, সেখানে কিছু মৌলবাদি তার ভাস্কর্য ভাংচুর ও স্থাপনে উসকানিমূলক নানা অপপ্রচার করছে। তাদের মনে রাখা উচিত কোন ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না। বঙ্গবন্ধু গণমানুষের হৃদয়ে বাস করেন। তাই সব বাঁধা ডিঙিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে সোনার বাংলাদেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে মেলার এই কর্ণার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর, দপ্তর সম্পাদক মেলার কো-চেয়ারম্যান শাহেদ আলী শাহেদ, প্রচার সম্পাদক এবি ছিদ্দিক খোকন, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মেলা কমিটির সদস্য জহিরুল কাদের, ছাত্রনেতা নাফিস ইকবালসহ মেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
বঙ্গবন্ধু কর্ণার নিয়ে কক্সবাজার শিল্প ও বাণিজ্য মেলার কো-চেয়ারম্যান শাহেদ আলী শাহেদ বলেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার মেলায় অনেক ভিন্নতা আনা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কর্ণারকে আধুনিক ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে। বসানো হয়েছে বিদেশী দামি পাথর ও কাঠ দিয়ে তৈরি চোখ জুড়ানো বঙ্গবন্ধুর কয়েকটি চিত্র শিল্প। যা দেশের প্রখ্যাত চিত্র শিল্পীরা বানিয়েছেন। রাজধানী ঢাকার স্বনামধন্য প্রসিদ্ধ প্রকাশনী থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী সম্পর্কিত প্রায় অর্ধশত বই। বইগুলো বসে পড়ার জন্য রয়েছে গ্যালারীও। মেলায় এসে মানুষ কেনাকাটা ও বিনোদনের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী বিশদভাবে জানবে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ গঠনে আত্মবলিয়ান হবে। মূলতঃ এটাই আমাদের সাফল্য।
উদ্বোধনের পর বঙ্গবন্ধু কর্ণারে নবীন-প্রবীণ দর্শণার্থীর ভীড় বাড়ছে প্রতিনিয়ত।