আবুল কাশেম, কুতুবদিয়া:
রুম টু রিড বাংলাদেশ ২০১৮ সাল থেকে কুতুবদিয়া উপজেলার ৫৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাক্ষরতা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ইউএসডিএ ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি’র সহযোগিতায় রুম টু রিড বাংলাদেশ মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে সাক্ষরতা কার্যক্রমের বার্ষিক অগ্রগতি শেয়ারিং সভার আয়োজন করেন। উক্ত বার্ষিক অগ্রগতি শেয়ারিং সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এম.জহিরুল হায়াত, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো.আনোয়ারুল কাদেরের সভাপতিত্বে উক্ত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জালাল উদ্দিন, উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ, ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রজব আলী, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার, উপজেলা নির্বাচন অফিসার, প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর রিক, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ, সহকারি শিক্ষকবৃন্দ এবং রুট টু রিড এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃনাদ উপস্থিত ছিলেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন রুম টু রিড’র প্রজেক্ট ম্যানেজার রতন চক্রবর্তী। রুম টু রিড’র ২০২০ সালের কার্যক্রমের অগ্রগতি উপস্থাপন করেন সিনিয়র লিটারেসি প্রোগ্রাম অফিসার মো. মিজানুর রহমান। অংশগ্রহণকারিগণের মধ্যে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকগণ এ কার্যক্রমের ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশেষ করে ১ম ও ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়ার দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পাঠাগার ও গল্পের বই পড়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়ার অভ্যাস তৈরি হচ্ছে যা শিক্ষার্থীদের এলাকায় পড়ার পরিবেশ তৈরি ও স্বাধীন পাঠক তৈরিতে ভূমিকা রাখছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এম. জহিরুল হায়াত বলেন, “ কুতুবদিয়া উপজেলার ৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার দক্ষতা ও পড়ার অভ্যাস তৈরিতে রুম টু রিড যে কাজ করে আসছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে অনলাইলে শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীর বাবা-মাকে সচেতন করা, পড়া বিষয়ক বিভিন্ন ভিডিও তৈরি এবং জাতীয় টেলিভিশন ও সোসাল মিডিয়ায় প্রচার করছেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাগণকে আরও তৎপর এবং এ কাজে সহযোগিতা করার জন্য পরামর্শ প্রদান করছি”।