ইমরান আল মাহমুদ,উখিয়াঃ
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কটি কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার ও প্রশস্তকরণ করা হলেও যানজট ভোগান্তি নিরসন হয়নি। আগের মতোই দখলে নিয়েছে সড়কের উপর গাড়ি পার্কিং। উখিয়া উপজেলার ব্যস্ততম প্রত্যেক স্টেশনে থেমে থেমে লেগে থাকে যানজট। অন্যদিকে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে সড়ক দূর্ঘটনা। গতকাল(রবিবার) ডাম্পারের বেপরোয়া গতির ড্রাইভিংয়ে গুরুতর আহত হন উখিয়া একরাম মার্কেটের মালিক একরাম। এর আগে টমটম গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে দীর্ঘদিন যাবত পায়ের আঘাতে কাতরাচ্ছে উখিয়ার প্রবীণ সাংবাদিক ও আমরা কক্সবাজারবাসী সংগঠনের উখিয়ার সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিকদার। প্রতিনিয়ত এরকম অহরহ দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে অদক্ষ চালকদের কারণে। অধিকাংশ যানবাহনই লাইসেন্স ছাড়া চলাচল করে। রবিবার সরেজমিনে উখিয়া সদর স্টেশন, কোর্টবাজার,মরিচ্যা স্টেশনে দেখা যায়, কিছুক্ষণ পরপর তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘক্ষণ যানজটের কবলে পড়ে রোগীবাহী এ্যাম্বুলেন্স সহ যানবাহনগুলো। যার ফলে তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীসাধারণকে। যাত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হচ্ছে তীব্র যানজটে। ভোগান্তির যেনো শেষ নেই। তবে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বদলীর কারণে নতুন ট্রাফিক পুলিশ আসায় যানজট নিরসনে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। বিপুল সংখ্যক গাড়ি সৃষ্টি করছে তীব্র যানজট।যার ফলে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে। ফলে তীব্র যানজটে গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিবাহিত করতে হয় বিভিন্ন গন্তব্যে ছুটে চলা যাত্রীদের। ঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারছেন না তারা। মানসিক হতাশা ব্যক্ত করছেন তারা।
১৩ই ডিসেম্বর রবিবার উখিয়া উপজেলার চার ইউনিয়নের সংযোগস্থল কোটবাজার স্টেশনে দীর্ঘ যানজট লক্ষ্য করা যায়। তবে স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ, যত্রতত্র সড়কের উপর গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে সড়ক প্রশস্তকরণ করা হলেও তেমন সুরাহা মিলছে না। যার ফলে আগের মতোই যানজট ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে জানান।
সরেজমিনে আরও দেখা যায়, প্রায়ই প্রত্যেক স্টেশনে সড়কের উপর অবৈধ গাড়ি পার্কিং ও ফুটপাত দখলে নেওয়ার কারণে কোটি কোটি টাকা অর্থায়ন করে সড়ক প্রশস্তকরণ ও সংস্কার করা হলেও যানজট ভোগান্তি থেকে রেহাই মিলছেনা। টেকনাফ থেকে কক্সবাজারগামী যাত্রীবাহী স্পেশাল সার্ভিসের যাত্রী গফুর জানান,প্রত্যেক স্টেশনে থেমে থেমে লেগে থাকে যানজট। যার ফলে গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হচ্ছে যানজটে। ঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি। এরকম অসংখ্য যাত্রীদের একই অভিযোগ শুনা যায় যাত্রীবাহী গাড়িতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সিএনজি ড্রাইভার জানান, সড়কে গাড়ি চালাতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ও যানজট সৃষ্টির পেছনে রয়েছে অদক্ষ ড্রাইভিং। কোনো নিয়মনীতি না বুঝে সড়কে নেমে পড়ে এসব অদক্ষ চালকরা।
তবে কোটি কোটি টাকা অর্থায়ন করে রাস্তা প্রশস্তকরণ,ড্রেন নির্মাণ কাজ করেও যানজট ভোগান্তি নিরসন না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেন পথচারীরাও। পথচারী তাওহীদুল ইসলাম রাপী জানান,সড়ক সংস্কার ও প্রশস্তকরণে পথচারীদের চলাচলে কোনো বাঁধা থাকবেনা মনে করেছিলাম। বর্তমানে দেখি তার বিপরীতটাই ঘটতেছে। মূল স্টেশন থেকে দ্রুত অবৈধ গাড়ি পার্কিং সরিয়ে অন্যত্র নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
ট্রাফিক পুলিশের সিনিয়র সার্জেন্ট রাজিব আশরাফ জানান,যানজট নিরসনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সড়কের অদক্ষ ড্রাইভার,ফুটপাতের উপর ভ্রাম্যমান দোকান ও যত্রতত্র পার্কিংয়ের কারণে যানজট নিরসনে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।